৯০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের জঘন্য ঘটনায় যুবক আটক

৯০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের জঘন্য ঘটনায় যুবক আটক

অনলাইন ডেস্ক

৯০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের জঘন্য ঘটনা ঘটেছে দিল্লিতে। এরপর অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সোনু। বছর ৩৩-এর এই যুবকের বাড়ি রেওলা খানপুরে।

পেশায় মিস্ত্রি । দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির নির্জন এলাকা ছাওলায় এই জঘন্য অপরাধটি ঘটে বলে গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানায় পুলিশ।

পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানান, দুধওয়ালার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বৃদ্ধাকে বাইকে তোলে ওই যুবক। কৌশলে সে নির্জনস্থানে বাইক নিয়ে যায়।

সেখানে ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করা হয়।

দ্বারকার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ সন্তোষ কুমার মীনা জানান, অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার এবং ধর্ষিতার জবানবন্দি ইতিমধ্যে রেকর্ড করেছে পুলিশ। মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তবে এখন শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশকে বৃদ্ধা জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি দুধওয়ালার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেসময় ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। সে বৃদ্ধাকে জানায়, দুধওয়ালা আজ আসবে না। কাছেই একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে গেলে দুধ পাওয়া যেতে পারে। এর পর সে মহিলাকে বাইকে তুলে একটি ফার্মে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়।  

বয়সের ভারে ক্লান্ত বৃদ্ধা পুলিশকে আরো জানান, বিপদ বুঝতে পেরে তিনি কাঁদতে থাকেন। ছেলেটিকে বিরত করতে তিনি বারবার বলছিলেন, আমি তোমারা দাদির বয়সি। ছেলেটি এর পরেও পীড়াপীড়ি করলে বৃদ্ধা প্রতিহত করতে চেষ্টা করেন। বাধা পেয়ে বৃদ্ধাকে মারধর করে সে। তারপর জোরপূর্বক প্রবীণা মানুষটিকে ধর্ষণ করা হয়। কিন্তু আশপাশের গ্রামবাসীর কানে কান্নার শব্দ যাওয়ায় তারা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। তুলে দেন পুলিশের হাতে। শারীরিক অত্যাচারে মহিলার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তখন।

জানা যায়, গ্রামবাসীরাই নিগৃহীতার কাছ থেকে তাঁর ছেলের ফোন নম্বর নিয়ে তার বাড়িতে এবং থানায় খবর দেয়।   ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পুলিশ মেডিক্যাল পরীক্ষাও করায়। রিপোর্টে একাধিক আঘাতের কথা বলা হয়েছে।

দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল ছাড়াও প্যানেল সদস্য বন্দনা সিং ছাওলার বাড়িতে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বৃ্দ্ধার মুখ থেকে ঘটনার বিশদ শোনেন। তিনি পরে বলেন,  বৃদ্ধার মুখ দেখে বোঝা যায়, কী ধরনের ট্রমার মধ্য দিয়ে তিনি যাচ্ছেন। যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে মানুষ হতে পারে না। বৃদ্ধা বিচার পাবেন। মামলাটিকে দ্রুত বিচারে নিয়ে গিয়ে ৬ মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার ব্যবস্থা করতে হবে। আসেন।   মঙ্গলবার স্বাতী আরো বলেন, ছ-মাসের শিশুকন্যা থেকে ৯০-এর বৃদ্ধা-- দিল্লিতে কেউ নিরাপদ নন।

দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল বৃদ্ধাকে দেখে এসে টুইটারে এই নির্যাতিতার আংশিক ছবিটি পোস্ট করেন।

সূত্র : জি নিউজ