‘কুমিল্লা টাউন হল ভাঙ্গতে দেওয়া হবে না’

‘কুমিল্লা টাউন হল ভাঙ্গতে দেওয়া হবে না’

হুমায়ন কবির জীবন

আধুনিকায়নের নামে কুমিল্লা টাউন হলকে ভাঙ্গতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। গেজেট করে স্থাপনাটিকে সংরক্ষণ করবে প্রত্নতত্ন অধিদপ্তর। ঐতিহাসিক এই স্থাপনা না ভাঙ্গার সিদ্ধান্তে খুশি কুমিল্লার সাধারণ মানুষ।

বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন।

কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে অবস্থিত এই স্থাপনা সবার কাছে কুমিল্লা টাউন হল নামেই পরিচত।

news24bd.tv

স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম এবং অবিভক্ত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজ পরিবারের স্মৃতি বহনকারী কুমিল্লা টাউন হলের বয়স প্রায় ১৩৫ বছর।

হঠাৎ করেই গুঞ্জন।

প্রাচীন এই স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হবে। এ জন্য দফায় দফায় সভাও করেছে স্থানীয় প্রশাসন। যদিও এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করেন সংস্কৃতিকর্মী ও সুধিজনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে আলোচনা-সমালোচনা।


আরও পড়ুন:

ডিএমসি ও বিএসএমএমইউ-তে পোস্ট করোনা ক্লিনিক চালু


তবে গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন ভাঙ্গার কোন সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

আর শিগগিরই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর একে সংরক্ষণ করবে বলে জানান, সংস্থার মহাপরিচালক।

১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই টাউন হলকে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছে কুমিল্লার শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি। এখানে পদধূলি পড়েছে, মহাত্মা গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের রহমানের মতো মহান ব্যক্তিত্বদের।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ