শান্তির বার্তা নিয়ে ইসরাইলী মডেলের ফটোশ্যুট

শান্তির বার্তা নিয়ে ইসরাইলী মডেলের ফটোশ্যুট

কাওসার শাহীন

শান্তিই সুন্দর। আরব আমিরাতে শান্তির বার্তা নিয়ে ইসরাইলী মডেলের ফটোস্যুট। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি খুব দ্রুতই পাল্টে যাচ্ছে। যতটা ভাবা হচ্ছিল তার চেয়ে এত অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে পাল্টে গেছে যে মিডিয়ার মানুষদের ও হিমশিম খেতে হয়েছে ঘটনার প্রেক্ষাপট বুঝতে।

এমনকি বাংলাদেশি মিডিয়ায় এ নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা বা বিশ্লেষণও চোখে পড়েনি। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মাঝে শান্তি চুক্তি হওয়ার তারিখ ও নির্ধারণ হয়ে গেছে।  

আগামী ১৫ ই সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মাঝে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এই অসম্ভব ঘটনা ঘটানোর কারণে এরই মধ্যে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্প মনোনয়ন পেয়েছেন।

ধারণা করা হচ্ছে শান্তি চুক্তি স্থাপনের কারিগর হিসেবে নোবেল পুরস্কারও ট্রাম্পের বদলদাবা হচ্ছে যা ট্রাম্পকে আগামী মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করতে ভূমিকা রাখবে।

গত দুই বছর যাবত ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী গোপনে বহু আরব দেশ ভ্রমণ করেছেন, সে দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।  

এমনকি পাকিস্তানেও ইসরাইলী কর্মকর্তারা বিশেষ বিমানে এসেছিলেন। তুরস্ক যদিও প্রকাশ্যে এসব চুক্তি অস্বীকার করেছে বাস্তবতা হচ্ছে তুরস্ক নিজেই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরাইলে দূতাবাস স্থাপন করে বসে আছে।

ইসরাইলের এমন কি আছে যা সারা পৃথিবীতে এমনভাবে প্রভাব বিস্তার করছে ?  উত্তর একটাই তাদের প্রায় ২৫ টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়-ই আছে আন্তর্জাতিক রেংকিং এ যাদের অবস্থান ১০০ এর ভিতরে !

বাংলাদেশের একটি বিভাগের সমান একটা দেশ, মাত্র ৮০ লাখ জনসংখ্যার একটা দেশ শুধু মেধার জোরে এই অসাধ্য সাধন করে চলেছে।  লেখক : চাকরিজীবী


আরও পড়ুন: লাদাখে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত-চীন?


নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম