করোনাকে হেলা নয়

করোনাকে হেলা নয়

মিজান মালিক

করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুধু সাধারণ মানুষই নন, এমন অনেকেই মারা যাচ্ছেন যাদের পদ পরিচয় আছে। গুরুত্বপৃর্ণ দায়িত্বে আছেন বা ছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের ব্রিফিংয়ে তাদের নাম পদ পরিচয় উঠে আসছে না। এটা কেন করা হচ্ছে তাও স্পষ্ট নয়।

শুধু সংখ্যা বলা হয়।  

যেমন আজকের বুলেটিনে বলা হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় ৪১ জন মারা গেছেন। এটি সরকারি হিসাব। এর বাইরে বেসরকারি কোনো হিসাব কারো কাছে নেই।

সবাই জানে জ্বর সর্দি কাশি ছিল। লোকটি মারা গেলেন। বিষয়টি অনেকটা এমনই।  

বলছিলাম সংখা তো আমরা শুনছিই। সাথে ২৪ ঘণ্টায় কতজন আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সংখ্যাও । ভালো। দেশের মানুষ সংখ্যা জানতে পারছে। কিন্তু পরিচয় জানলে কী এমন ক্ষতি! 

যেমন আজকেই ওয়াসার চেয়ারম্যান ড. রশিদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। সঙ্গীত শিল্পী কোনালের বাবা মারা গেছেন।  

বরগুনা জেলার সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল আলীম হিমু ও বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের মারা গেছেন ।  

এমন আরো অনেকেই হয়তো আছেন। নাম বললেই সবাই চিনবে। বা নিদেনপক্ষে তার এলাকা বা দফতরের সবাই জানতে পারবে। অনেকেই দোয়ার হাত তুলবেন।  জানিনা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নতুন করে ভাববে কিনা।

আরেকটি কথা, যারা মারা যাচ্ছেন দেখা যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগ হাসপাতালে ভর্তির পর। চিকিৎসায় কোনো ধরনের ব্যতয় ঘটছে কিনা, কি কি লক্ষণ ছিলো, বয়স কত ছিল, অন্য আর কি রোগ ছিলো এসব বিষয় অন্যরা জানতে পারলে তাদের পক্ষে আরো সাবধানতা অবলম্বন করা সম্ভব।  

দুই:
করোনা চলে গেছে ভাবলে আমরা হেরে যাবো। করোনা এমনই এক অদৃশ্য মরণঘাতক, কখন কে আক্রান্ত হবে বলা মুশকিল। করোনা কারো মুখ দেখেনা। জাত দেখে না। ধর্ম দেখে না। বর্ন দেখে না। দেশ দেখে না। পদ দেখেনা। আমাদের উচিৎ হবে জীবিকার প্রয়োজন বা বিশেষ কারণ ছাড়া বাইরে না যাওয়া। বাইরে গেলে কয়েকটি জিনিস এর প্রতি যত্নবান হওয়া।  

কোনোভাবেই মাস্ক ছাড়া বাইরে না যাওয়া 

চোখ নাক মুখে বারবার অকারনে হাত না দেয়া

পকেটে হ্যান্ড সেনিটাইজার রাখা। কোনো কাগজে টেবিল চেয়ার বা কাজের প্রয়োজনে কোনো বস্তুতে হাত দিলে হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা

সাবান দিয়ে হাত ধোয়া

ন্যূনতম দুরত্ব মানা।

যতই কাছের হোক বেশি ঘেষাঘেষি না করা।

দাওয়াইয়ের পাশাপাশি একে অন্যের জন্য দোয়া করা। পাশের মানুষটি সুস্থ থকলে আপনি আমি সুস্থ। ঘরের সবাই সুস্থ। দেশের মানুষের কল্যাণ। মহান জাতীয় সংসদেও এই মহামারি করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া পার্থনা করা হয়েছে। মসজিদেও হচ্ছে। অন্যরাও করছে।

তিন:

মহান রাব্বুল আ'লামীনের অসীম দয়া আর সবার দোয়ায় আমি করোনা থেকে আপাতত মুক্তি পেয়েছি। কিন্ত একটা ভয় থেকেই যায়। ফলে চেষ্টা করছি সতর্কতার ছাতাটা মাথার ওপর রাখতে। করোনা পরবর্তী ধাক্কাও অনেক বড়। সাইড অ্যফেক্ট একেকজনের একেকরকম। তাই বলছি করোনাকে আমরা যেনো হেলা না করি।  

প্রিয় মানুগুলো ভালো থাকুন। সবার জন্য শুভ কামনা। ভালোবাসা। দোয়া।

লেখক : সাংবাদিক


আরও পড়ুন: শান্তির বার্তা নিয়ে ইসরাইলী মডেলের ফটোশ্যুট


নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম

এই রকম আরও টপিক