চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন ট্রায়ালে আইসিডিডিআরবির প্রস্তুতি সম্পন্ন

চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন ট্রায়ালে আইসিডিডিআরবির প্রস্তুতি সম্পন্ন

হাসান পারভেজ

চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবি। এই মাসেই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রয়াল হতে পারে বলে জানিয়েছে আইসিডিডিআর,বি। এখন শুধু অপেক্ষা চীন থেকে ভ্যাকসিন আগমনের। ঢাকার ৭টি হাসপাতালের ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হবে।

পরীক্ষা সফল হলে সিনোভ্যাক বাংলাদেশের একটি ওষুধ কোম্পনিকে ভ্যাকসিন তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে। এছাড়া সিনোভ্যাক বাংলাদেশকে ১ লাখ ১০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে প্রদান করবে এমনটাই বলছে আইসিডিডিআরবি।  

কোনো ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে বিপুল সংখ্যক মানুষের শরীরে প্রয়োগ করতে হয়। পরীক্ষার ফলাফলে নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হলেই সেই টিকা অনুমোদন পায়।

বিশ্বে যে কটি ভ্যাকসিন এগিয়ে আছে তার অন্যতম চীনের সিনোভ্যাক। চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানিটির করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল ব্রাজিলে সম্পন্ন হয়েছে। ব্রাজিল জানিয়েছে, চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে আশাব্যাঞ্জক ফল পাওয়া গেছে।

সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন ট্রায়াল দেশে শুরু করতে বেশ জোরেশোরে কাজ করছে আইসিডিডিআর,বি। চীন থেকে ভ্যাকসিন দেশে আসলেই ট্রায়াল শুরু করতে পারবে বলে জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।

ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ৪ হাজার ২০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশগ্রহণ করবে। যে হাসপাতালগুলোতে ট্রায়াল হবে, সেখানকার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় ট্রায়ালে অংশ নিতে চাইবে, শুধু তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বাংলাদেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালকে স্বাগত জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, শুধু চীন  নয়, ট্রায়ালের জন্য অন্য যেকোন দেশ ও কোম্পানির সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ করা উচিত।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে  সেটা মানুষের শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। ফলে মানুষ এই মরণঘাতি ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবে।


আরও পড়ুন: মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে উদগ্রিব বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা


নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম