বর্তমানে ৩৭ লাখ মামলা জট রয়েছে: আইনমন্ত্রী

বর্তমানে ৩৭ লাখ মামলা জট রয়েছে: আইনমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

বর্তমানে ৩৭ লাখ মামলার জট রয়েছে উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলার এ জট কমাতে হবে।

মামলা জট কমাতে ২ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা জাস্টিস ‘ডিলেইড ইজ জাস্টিজ ডিনায়েড’ এবং জাস্টিজ হারিড ইজ জাস্টিজ ব্যুরেইড’ এই দুটির মাঝ দিয়ে চলে মামলা জট কমানোর চেষ্টা করবো এবং জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবো। জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়া না গেলে তার পরিণতি কি হবে সেটা মুখে উচ্চারণ করাও উচিত নয়। ’’

রোববার ফরিদপুরে ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আট তলা বিশিষ্ট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিং যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘হেফাজতে মৃত্যুর কারণে এই উপমহাদেশে প্রথম সাজা শেখ হাসিনা সরকারের সময় হয়েছে। অপরাধীদের সাজা দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এ দেশে সকলকেই আইন মানতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটালে তার বিচার হবে এবং সাজা হবে। ’

এদিকে, করোনা সংকট মোকাবিলায় আইনজীবীদের বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাধ্যমে স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় আড়াই মাস আইনজীবী বিশেষ করে জুনিয়র আইনজীবীরা তাদের প্রাকটিস থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এতে অনেকেই আর্থিক সংকটে পতিত হয়েছেন। অনেকেই কষ্টে আছেন। আইনজীবীদের কষ্ট লাঘবে স্বল্পসুদে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ’

সঠিক বিচার পেলেই জনগণ আইনের উপর আস্থা রাখবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারক ও আইনজীবীরা বিচার বিভাগকে কার্যকর করার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান দুটি অর্গান। বিচার বিভাগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য বিচারক ও আইনজীবীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইনস্টিটিউশন। এ দুই ইনস্টিটিউশন মিলে জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেয়া সংবিধানে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের কথা থাকলেও সামরিক ও খালেদা জিয়ার সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগের অনেক পজেটিভ পরিবর্তন আনেন এবং এ পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ করা হয়।

ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ফরিদপুর ১ ও ৪ আসনের সংসদ সদস্য যথাক্রমে মনজুর হোসেন ও মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন), আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এওএম খালেদ প্রমুখ এ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখেন।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল