নাটোরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬

নাটোরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের তেবাড়িয়া হাটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। রবিবার বিকেলে শহরতলীর তেবাড়িয়া হাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন-আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল প্রামাণিক (৬৫), তার স্ত্রী সফুরা বেগম (৫০), পুত্রবধূ পুরনি বেগম (২২), কেয়া বেগম (২১), ছেলে সুজন প্রামাণিক (২৮) ও বাসার কেয়ারটেকার আনোয়ার (৫০)। আহতদের চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নাটোর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেনের সাথে সাবেক ইউপি সদস্য প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মেম্বরের ছেলেদের বিরোধ চলে আসছিল। রোববার তেবাড়িয়া হাটের ছাগল হাটায় বাবুল মেম্বরের ছেলে সুজন আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুলকে মারধর করে। এ ঘটনায় নাজমুল হোসেনের সমর্থকরা বাবুল মেম্বরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।  

যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার বিকেলে বেশ কয়েকজন লোক বাসায় প্রবেশ করে হামলা এবং ভাঙচুর করে।

আমাদের না পেয়ে আমার অসুস্থ বাবা-মাসহ বাসার নারীদের মারধর করা হয়। আমার বাসায় তারা লুটপাট চালিয়ে নগদ টাকা র্স্বণালংকার নিয়ে চলে যায়।  

নাজমুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রবিবার বিকেলে প্রতিপক্ষ বাবুল মেম্বরের ছেলে সুজন তাকে মারধর করে। এতে আমাদের সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে পাল্টা ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় বাড়িঘরে হামলা বা লুটপাটের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

নাটোর থানার ওসি জাঙ্গাঙ্গীর আলম জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় কিছু বাড়িঘর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তেবাড়িয়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সোহেল, মিজানুর রহমানের ছেলে নোহান, মৃত নাজমুল সরকারের ছেলে নয়ন ও হুগোলবাড়িয়া এলাকার বাবুল প্রামাণিকের ছেলে রতনকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

তবে এ বিষয়ে বিকেল পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি বলেও জানান নাটোর থানার এই ওসি।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল