পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ থেকেই শুরু হয়ে গেছে পিসিবিতে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম। প্রতি কেজি আমদানি করা এলসি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে টিসিবির দোকানে ৩০ টাকা কেজি দরে। তেল ডাল সহ অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকায় ১ কেজি ৬০০ গ্রাম। কিন্তু ক্রেতারা এই পেঁয়াজের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর উত্তরা গণভবনের সামনে আমবাগানে করোনাকালীন সময়ে স্থাপিত হাট বা বাজারে এই পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়। টিসিবির পণ্য ট্রাক ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষজন হুমরি খেয়ে পরে। তারা দাবি করছিলেন পেঁয়াজের পরিমাণ আর একটু বাড়ানো যায় কিনা।
এদিকে টিসিবির পণ্য বিক্রেতা জানান, তাদের নির্দেশনা মতো অন্যান্য সামগ্রীর সাথে আপাতত ১ কেজি ৬০০ গ্রাম করে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকায়।
এদিকে নাটোরের গোপালপুর, লালপুর, গুরুদাসপুর ও দয়ারামপুরে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে। আর নাটোর সদরের আজ সকালে পেঁয়াজের দাম ছিল এলসি ৪৫ টাকা, আর দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা।
পেঁয়াজের দাম নাটোরে একদিনে রীতিমত দ্বিগুণ হয়ে গেছে বাজারে। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত খবর ও ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করার ঘোষণা খবর প্রচারিত হওয়ার পর পরই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এমনটাই অভিযোগ ক্রেতাদের। তারা এজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ওটিসিতে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজ বেশি পরিমাণে বিক্রির অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্পটে বেশ কয়েকটি টিসিবির দোকান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)