মিয়ানমার সীমান্তে হঠাৎ করে সৈন্য জমায়েত করেছে। এই ঘটনাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। সরকার যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদু্জ্জামন খাঁন কামাল। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছেন সীমান্তে মাঝে মাঝেই মিয়ানমারের সেনারা অবস্থান নেয়। তাদের সৈন্য-সামন্ত বৃদ্ধি করে।
আরও পড়ুন:
খুলনায় করোনা রোগীর শরীরে কমে যাচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহ
তিনি বলেছেন, তিনি যতটুকু জানেন, তারা বৃদ্ধি করেছে এবং ওইখানে তারা এখনো অবস্থান করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আপনাদের বলে রাখতে চাই, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই যে কেনো পরিস্থির জন্য তৈরি থাকি।
গেল ১১ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাজার খানেক সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তের নাফ নদীর তীর, মংডু ১ নম্বর জেটি এবং কানিং চং এ নির্মাণাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থান নেয়।
গেল রোববার ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে ডেকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে জানতে চায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দপ্তরে কথা বলেন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন রোহিঙ্গারা আসে তখন বিজিবি তাদেরকে সহায়তা করেছিল। তাদেরকে খাবার দিয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ’আমরা প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করে যাচ্ছি । আমাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হলো, কারো সঙ্গে শক্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। এটা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুরও নির্দেশনা ছিল। আমরা সেভাবেই চলছি। ’
সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি পয়েন্টে গেল কয়েক দিনে মিয়ানমার সৈন্যদের উপস্থিতি দেখার কথা জানান স্থানীয়রা।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)