পিরোজপুরে দিন দিন ভাসমান পদ্ধতি সবজি চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাড়ছে কৃষকের সংখ্যাও। তবে, জমির লীজ ও উপকরণ ব্যয় বাড়ায় চাষীরা আগের লাভ করতে পারছেন না। এমনকি সম্ভাবনাময় এই কৃষিক্ষেত্রে মিলছে না কোন সরকারী সহযোগীতাও।
তবে আয় বৃদ্ধি ও ভাসমান চাষ পদ্ধতির উন্নয়নের জন্য চাষীদের প্রশিক্ষনের কথা বলছে কৃষি বিভাগ।ভৌগোলিক কারণে সারা বছরই পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ী- দোবড়া, কলারদোয়ানিয়া ও মালিখালী এবং নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা ৫- ৮ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। ফলে, এসব জায়গায় প্রচলিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা সম্ভব হয় না।
তাই, বিকল্প হিসেবে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজির চাষ বেছে নিয়েছে এখনকার চাষীরা।
তবে, জমি লীজসহ কৃষি উপকরনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের মতো আর লাভ করে করতে পারছেন কৃষকরা। এছাড়া অনেকটা ব্যয়বহুল এ চাষাবাদে মিলছে না কোন সরকারি সহযোগীতাও। ফলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও এনজিও’র কাছ থেকে চড়া সুদে লোন নিয়ে কৃষকরা এই চাষাবাদ টিকিয়ে রাখছেন।
এমন বাস্তবতায় কৃষকদের স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার দাবি কৃষি সংগঠকদের।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বন্ধ থাকায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন কুচিয়া ব্যবসায়ীরা
তবে আয় বৃদ্ধি ও ভাসমান চাষ পদ্ধতির উন্নয়নের জন্য চাষীদের প্রশিক্ষণের কথা জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায়।
প্রত্যেক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ভাসমান কৃষির মাধ্যেমে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ১৫ হাজার চাষী। তাই এ পেশায় সংশ্লিষ্টদের রক্ষায় প্রয়োজনী সরকারি সহায়তা পাওয়া প্রত্যাশা স্থানীয় কৃষক।
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ