চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে শুরু দেবীপক্ষ

চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে শুরু দেবীপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ। এ দিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের।

শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চণ্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি।

শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া।

আবাহন সঙ্গীত আর পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। তবে মলমাসের কারণে ৩৫ দিন পর আগামী ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মহালয়ায় হিন্দু সম্প্রদায় চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে নেমে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

চন্ডীপাঠ ছাড়াও মঙ্গলঘট স্থাপন, চণ্ডীপূজা এবং ঢাক-কাঁসা ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীকে মর্ত্যে আহ্বান জানান ভক্তরা।


আরও পড়ুন: ইউএনওর ওপর হামলা: রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলো রবিউলকে


মহালয়া উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও পূজামন্ডপগুলোতে ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়। তবে করোনার সংক্রমণের কারণেই সব আনুষ্ঠানিকতা ছিলো সীমিত পরিসরে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

ভোরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় পূজামন্ডপে চণ্ডীপাঠ করে দেবীকে আহ্বান জানানো হয়। এর পর শিল্পীরা এখানে আবাহন ও ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

সকালে মহালয়ার মূল আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হয়। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী পূজা পরিচালনা করেন। পরে মন্দিরের নিজস্ব জলাশয়ে গত বছরের দেবী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: শুভ মহালয়া আজ


মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ৷

ঘণ্টাব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চন্দনা মজুমদার, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অলক কুমার দে, দেবোলীনা সুর, দেবপ্রসাদ দাঁ৷ শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যনন্দনের শিল্পীরা। গান আর নাচের মাঝে ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়ের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় দেবী দুর্গার মহিষাসুরবধ দিয়ে 'মহিষাসুরমর্দিনী'৷

নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর