নিষেধাজ্ঞার পরও পেঁয়াজের দাম কমেনি ভারতের বাজারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পর মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই এই অবস্থা।
অন্যদিকে প্রতিবেশি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে কেন্দ্র সরকারকে চিঠি দিয়েছেন কোলকাতার ব্যবসায়ীরা।
যেটা বলা হচ্ছিলো পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে বাজার দর কমে আসবে আসলে সেটা হয়নি।
কিন্তু এখানকার যারা ব্যবসায়ী পাইকারি কিংবা খুচরা তারা বলছেন পশ্চিমবঙ্গে পর্যাপ্ত পেয়াজ আছে।বেঙ্গল চেম্বারস অব কমার্সে কর্নধার উৎপল রয় বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার খবরটি যখন শুনলাম। তখন বিষয়টি আমার কাছে খুব টাচি লেগেছে। কোনোরকম ঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার বিষয়টি আমার কাছে খারাপ লেগেছে।
আমি গতকাল ওমিত যাদব, ফরেন মিনিস্ট্রি অব ট্রেড অ্যান্ড কমার্স ওনার কাছে আমি লিখিত আবেদন করলাম। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর আর ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর এ চারটি বিষয়কে মাথায় রেখে পাশপাশি বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে পেঁয়াজ রপ্তানি আবার চালু করা উচিৎ এমনটাই জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: ছয় ব্যাংকের সঙ্গে ৭০০ কোটি টাকার সিন্ডিকেট ঋণচুক্তি
পেঁয়াজ থেকেও পেঁয়াজের চড়া দামে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবাংলার মানুষ। পাশাপাশি ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের মানুষও। তবে উৎপল রায়ের মত কিছু ভারতীয় চাচ্ছেন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সেই সম্পর্কে যেন কোনোভাবেই চির না ধরে এবং বাংলাদেশে আগামীতে যেন পেঁয়াজ রপ্তানি হয় সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে বিভিন্ন ধরনের চিঠি-পত্র আদান প্রদান করছেন।
এখন দেখার বিষয় আবার কবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু হয়।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম