কুমিল্লার আরেক নাম ‘মাছের অভয়ারণ্য’। যেখানে প্রায় প্রতি বছরই চাহিদা ও লক্ষমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে। ফলে নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে ভূমিকা রাখে দেশবাসীর চাহিদা মেটাতে। আর কুমিল্লায় এ অধিক উৎপাদনের মূল কারণ হচ্ছে প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ।
১৯৮৬ সালে কুমিল্লায় সর্ব প্রথম প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ শুরু হয় দাউদকান্দি উপজেলায়। এরপর থেকে দাউদকান্দি ছাড়াও কুমিল্লার মেঘনা, হোমনা, মুরাদনগর, তিতাস উপজেলায়ও প্লাবনভূমিতে মাছ চাষ হচ্ছে। এ উপজেলাগুলোর লক্ষাধিক পরিবার চলছে মাছ চাষের আয় দিয়ে।মৎস্য চাষী মতিন সৈকত জানান, বিভিন্ন প্লাবন ভূমি ছাড়াও নদী, পুকুর ও জলাশয়ের মাছ জেলার চাহিদা মিটিয়ে যোগান দিচ্ছে দেশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায়ও।
আরও পড়ুন: পালাতে গিয়ে কিশোরীর হাতে আটকা পুলিশ সদস্য
মৎস্য চাষী আলী আহাম্মেদ জানান, দাউদকান্দি উপজেলা প্লাবনভূমিতে ১২৭ টি প্রজেক্ট রয়েছে। মাছ চাষ করার কারণে এই অঞ্চলে বেকারত্ব কমেছে। অসংখ্য মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। মাছ চাষ করে আমরা ভালো আছি।
কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন জানান, কুমিল্লায় প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ সারাদেশে রোল মডেল হিসেবে গণ্য হচ্ছে। দাউদকান্দিতে প্রথম প্লাবনভূমিতে মাছ চাষ শুরু হওয়ায় একে দাউদকান্দি মডেলও বলা হয়। এ বছর জেলার মোট চাহিদা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টনের বিপরীতে মাছ উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৯শ’ ৪৭ মেট্রিক টন। যা চাহিদার তুলনায় ১ লাখ ২০ হাজার ৬৭ টন বেশি। সরকার এ জেলার মৎস্য উৎপাদন উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ ভাবনায় রেখেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বড় বোনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় ছোট বোনকে খুন!
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)