১৫ দিনের শুটিংটা পাগলামি ছিল: জয়া

১৫ দিনের শুটিংটা পাগলামি ছিল: জয়া

অনলাইন ডেস্ক

নতুন ছবি নিয়ে আবারো দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন দুই বাংলার শীর্ষ নায়িকা জয়া আহসান। ছবির নাম ছেলেধরা।   নির্মাতা টলিউডের ‘সোয়েটার’ ও ‘হৃদপিণ্ড’-খ্যাত শিলাদিত্য মৌলিক। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে।

 

ছবির খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে রোববার রাতে ঢাকা থেকে ফোনে আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি বললেন, “এই মহামারি, লকডাউন নিয়ে ১৫ দিনে ছবি করে ফেললাম। ” এই সময়ের মানসিক অস্থিরতার দিনগুলোতে যখন বাসায় বসে ভয় আর আশঙ্কায় দিনগুলো কাটাচ্ছিলাম সেই সময় পরিচালক ফোনে বললেন, ‘চলেন ছোট করে একটা শর্ট ফিল্ম বানিয়ে ফেলি। ’

মহামারির মধ্যে দিয়ে চলা বিশ্বের যে কোনও মানুষ এই ছবির সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারবেন বলে দাবি জয়ার। গল্পের মধ্যে ছবি তৈরি হতে হতে তা দীর্ঘতর হল।

তৈরি হল ফিচার ফিল্ম। কবে মুক্তির কথা ভাবছেন? জয়া বললেন, “দিন তো ঠিক হয়নি। তবে ছবি যাতে সকলে দেখতে পান, তাঁর ব্যবস্থা করব আমরা। ”

জীবনের খণ্ড খণ্ড না-বলা অনুভূতি জুড়ে তৈরি এই ছবি মানুষের মনের জটিল বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করেছে।

জয়ার মতে, ছবি অনেক সময় ছবি হয়ে ওঠে, বানাতে হয় না! তাঁর কথায়, “আশায় থাকলাম কী করলাম সেটা দেখার জন্য! কিন্তু ১৫ দিনের শুটিংটা একটা পাগলামি ছিল, এত কম মানুষ নিয়ে একটা ছবি শুট করা যায় সেটাও জানা হল। পিপলু ভাই আর নুসরাত মাটি-র চিত্রনাট্যে আপাতত নাম আসেনি। ” নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘C তে cinema’-ও এই ছবির প্রযোজনার অংশ!


আরও পড়ুন: ফের সমালোচনার মুখে অভিনেত্রী নুসরাত


লকডাউনের মধ্যেই জানা গেছে, শিলাদিত্য মৌলিকের নতুন ছবি ‘ছেলেধরা’-র কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থাকবেন জয়া। 'ছেলেধরা'তে উঠে আসবে এক জন অ্যালকোহলিক মা ও মেয়েকে অপহরণের গল্প। দেখা যাবে, অপহৃত হওয়ার পর থেকেই অপহরণকারীর ছেলেকে নিজেদের নাগালের মধ্যে পেতে চান ওই অ্যালকোহলিক মহিলা। অবশেষে সেটা সম্ভবও হয়। নিজের ছেলেই যখন অপহরণের শিকার, তখন অপহরণকারীর ঠিক কী অনুভূতি হতে পারে? এই পটভূমিতেই তৈরি হচ্ছে 'ছেলেধরা'।

লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায়, নানা ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন জয়া সেখানে দেখা গেছে জয়ার বাড়ির বারান্দায়, ছাদে বড়-ছোট-মাঝারি মাপের অসংখ্য টব। তিনি নানা ধরনের গাছের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নতুন চারাও লাগাচ্ছেন। পাশে আছে তাঁর সঙ্গী সারমেয়। ক্যাপশনে জয়া লেখেন, “সবচেয়ে ভাল সময় কাটানোর উপায় গাছ লাগানো। সবুজের সঙ্গে সময় কাটানো। এতে পৃথিবী দূষণমুক্ত হবে অনেকটাই। ”

তবে এখন বোঝা যাচ্ছে শুধু গাছ লাগানো নয়, আস্ত একটা সিনেমার কাজ-ই করে ফেলেছেন জয়া।   সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

news24bd.tv-নাজিম

এই রকম আরও টপিক