ব্যবসায়ী আজিজ হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, অপরজনের যাবজ্জীবন

ব্যবসায়ী আজিজ হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, অপরজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আসামি ফারুক ও ইদ্রিসকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। পলাতক আসামি জয়নালকে মৃত্যুদণ্ড ও মো. রুস্তম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মামলার অন্য একটি ধারায় তাদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি প্রত্যেককে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: এতো সম্পদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভারের!


মামলাটিতে দুই আসামি ফারুক ও ইদ্রিস জামাই কারাগারে আছেন। অপর দুই আসামি জয়নাল ও রুস্তম আলী পলাতক আছেন। নূরে আলমকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রাজসাক্ষী করে উপস্থাপন করা হয়।

চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা তারিখ ঠিক করা হয়।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ সকাল ৭টায় আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। আজিজকে খুঁজে না পেয়ে ছোট ভাই মো. বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এর ১২ দিন পর একই বছর ১৭ মার্চ মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুজনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন বাচ্চু মিয়া।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাকসুদ ও আমানুল্লাহর সঙ্গে ভাঙা কাচের ব্যবসা করতেন আব্দুল আজিজ চাকলাদার। তারা দুজন আজিজের কাছে ব্যবসায়িক কারণে ২৫ হাজার টাকা পেতেন। টাকা লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ কারণে মাকসুদ ও আমানুল্লাহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

২০০০ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানার তৎকালীন এসআই মো. আব্দুর রাকিব খান সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্ত চলাকালে রূপসা নদী থেকে আজিজের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী। এরশাদ শিকদাদের রায় কার্যকর হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০০০ সালের দিকে এ মামলার চার্জগঠন করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন হাই কোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। পরে ২০১৭ সালের দিকে স্থগিতাদেশ উঠে গেলে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

মামলাটিতে ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে নূরে আলমসহ সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

news24bd.tv নাজিম

এই রকম আরও টপিক