সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। এতে জেলেরা খুশী হলেও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা। কারণ ধরা পড়া প্রায় ৭০ শতাংশ ইলিশ মাছের পেটেই রয়েছে ডিম। এ অবস্থায় মা মাছ রক্ষায় ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময় এগিয়ে আনার চিন্তাও করছেন তারা।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট জেলেপাড়ার চিত্র এটি। সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরছেন জেলেরা। ৩ শো গ্রাম থেকে শুরু করে দেড় কেজি ওজনের মাছও আছে তাদের ঝুঁড়িতে।
একই অবস্থা চট্টগ্রামের ফিশারী ঘাটের।
আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সঠিকভাবে গবেষণা না করেই দফায় দফায় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও রক্ষা পাচ্ছে না মা ইলিশ।
এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত মৎস্য অধিদপ্তর। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী জানান, মা মাছ রক্ষায় ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময় এগিয়ে আনার চিন্তাও করছেন তারা।
আরও পড়ুন: নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই চলাচল অনুপযোগী সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক
প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে মিলিয়ে মোট ১৫ থেকে ১৭ দিন হচ্ছে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় ইলিশকে স্বাচ্ছন্দ্যে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে প্রতিবছরই দেশের সব নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার ।
news24bd.tv সুরুজ আহমেদ