বাড়িতেই সাজা খাটছেন আসামিরা
প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশ

বাড়িতেই সাজা খাটছেন আসামিরা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

মামলার রায়ে কারাদন্ড হলেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাইরে। জেলে যেতে হচ্ছে না। বাড়িতেই সাজা খাটছেন। প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশ অনুযায়ী আদালতের নির্দেশেই এমন সুবিধা পাচ্ছেন লঘু অপরাধীরা।

 

এ ধরনের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সারাদেশে এখন রোল মডেল রাজশাহী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ আইনটি প্রয়োগের ফলে আদালতে মামলার জট ও কারাগারে বন্দিদের চাপ কমবে।  

আপোসযোগ্য একটি মামলায় আদালতের রায়ে এক বছর জেল হয়েছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সত্তর বছর বয়সী আমির উদ্দিনের। তবে সারাজীবনে এই প্রথম তিনি দণ্ডিত হয়েছেন।

অপরাধ ও বয়স বিবেচনায় আদালত তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে বাড়িতে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন। এসময়ে তিনি শিখেছেন স্বাক্ষর করা, আদালতের প্রচেষ্টায় পেয়েছেন বয়স্ক ভাতাও।

আমির উদ্দিনের মতো রাজশাহীর আদালত থেকে অন্তত ২৩ জন প্রবেশনের সুবিধা পেয়েছেন। যা এখন পর্যন্ত সারাদেশে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে রেকর্ড।  

প্রবেশনে মুক্তি পেয়ে খুশি আমির উদ্দিন ও গোলাম রাব্বানী। তারা জানান এই বয়সে জেল খাটতে হচ্ছে না এটাই অনেক। আদালতের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা তাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে।


আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার কে এই মালেক ?


বাদী ও আসামীদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা। এর ফলে আদালতে কমছে মামলার জট। আর কারাগারেও কমছে বন্দির সংখ্যা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালযের আইন বিভাগের অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলছেন, কারাগারে বহু অপরাধী থাকে। তাদের মধ্যে লঘু অপরাধীদের রাখার হলে সে বড় অপরাধী হিসেবে বের হয়ে আসতে পারে। তাই এমন সুযোগ দেয়া ইতিবাচক।  

তবে প্রবেশন সুবিধা পাওয়া ব্যক্তিদের কেউ শর্ত ভঙ করলে সাজা খাটতে যেতে হবে কারাগারে।

news24bd.tv সুরুজ আহমেদ

সম্পর্কিত খবর