যেভাবে ডিম খেলে পুষ্টিও মিলবে, মেদও আটকাবে

যেভাবে ডিম খেলে পুষ্টিও মিলবে, মেদও আটকাবে

অনলাইন ডেস্ক

সকল পুষ্টির উৎস ডিম। আর খরচও কম। সে কারণেই নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষের ডিমের ওপরই ভরসা। স্বাদ, পুষ্টি ও সুষম আহারের খোঁজে ডিমের সঙ্গে পাল্লা দেবে এমন খাবার খুব কমই রয়েছে।

তবে একসময় মনে করা হতো, ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল বাড়ে। কিন্তু আধুনিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, এ ধারণা ভিত্তিহীন। বরং ডিমের কুসুম খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ‘ওজনে কোনও প্রভাবই ফেলে না ডিম।

মেদ নিয়ে ভয় থাকলে ডিম বাদ দেওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং বেশ কিছু উপায়ে ডিম খেলে মেদের সঙ্গে লড়া যায় নির্বিঘ্নে। শরীরও পায় পুরো পুষ্টিগুণ। ’

আরও পড়ুন:


১৮টি রোগ থেকে দূরে রাখবে এক কোয় রসুন!


ডিম খান এসব উপায়ে-


পানি দিয়ে পোচ:  ডিম পোচ করুন পানি ও ভিনেগারের সাহায্যে। একটি পাত্রে কিছুটা পানি নিয়ে তাতে অল্প ভিনেগার যোগ করে পানিটা নেড়ে নিন। এবার খুব সাবধানে প্রথমে ডিমের সাদা অংশ ফেলুন পানিতে। তার ওপর ফেলুন ডিমের কুসুম। এমনভাবে কুসুম যোগ করতে হবে, যাতে তা ভেঙে না যায়। খানিক পরেই ডিমের সাদা অংশ ফুলে উঠে ঢেকে দেবে হলুদ কুসুমকে। সাদা আস্তরণের ভেতর টলটল করবে কুসুম। ঝাঁঝরি হাতা দিয়ে পোচটিকে আলতো করে তুলে নিন পানি থেকে। এমন পোচ গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ মেলে এই পোচ থেকে। মেদ জমার ভয়ও থাকে না।

সালাদ: পালং, শসা, ব্রকলি, সিদ্ধ করা গাজর, কড়াইশুটি, টমেটো-পেঁয়াজের সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে দিন সিদ্ধ ডিমের কুঁচানো অংশ। এরপর একটু গোলমরিচ ও লেবুর রস মেশান তাতে। এতে গোটা ডিমের পুষ্টিগুণ যেমন মিলবে, তেমনই আবার সবুজ সবজি, শাক ও গাজরের প্রভাবে মেদ বাধা পাবে। ফলে ডিমে বাড়বে না ওজন।

ওটমিল ও ডিম: ডিমের সঙ্গে ওটমিল খান। ওটমিল পাচনমূলক এসিড ক্ষরণেও বাধা দেয়। তাই ওটমিল খেলে সহজে খিদেও পায় না। ওটমিল শরীরে বাড়তি কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমার পথে বাধা দেয়। এদিকে ডিম জোগান দেয় প্রোটিনের। ফলে ওটমিল ও ডিম একত্রে লড়াই করলে মেদ জমা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।  

সূত্র: আনন্দবাজার

news24bd.tv কামরুল