ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা কীভাবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফিটনেস সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, তার সুফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ব্যাখ্যা করলেন ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
বৃহস্পতিবারই পূর্ণ হল ‘ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’-এর এক বছর। সেই উপলক্ষেই এ দিন গোটা দেশের ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনার (ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিওতে) আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে হাজির ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়কও।
সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বিরাটের কাছে জানতে চান, ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষার ব্যাপারে।প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন ছিল, ‘‘এখন শুনি ক্রিকেট দলে ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা হয়। সেটা কী ব্যাপার?’’
কোহলি বলেন, ‘‘ফিটনেসের দিক থেকে ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বের ক্রিকেট খেলিয়ে সেরা দেশগুলোর যে ফিটনেস, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ফিটনেস এখনও কিছুটা কম।
আরও পড়ুন: বেয়াদবি আর সহ্য করা হবে না: চীনকে ভারতের হুঁশিয়ারি
এই ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষার সময় ২০ মিটার দূরত্বে মাঠের মধ্যে দু’টি নিশান রাখা হয়। বাঁশি দেওয়া হলে খেলোয়াড়েরা এক প্রান্ত থেকে ছুটে অন্য প্রান্তে যান। ফের বাঁশি বাজলে সেখান থেকে আগের জায়গায় ফিরতে হয় দৌড়ে। তৃতীয় বাঁশি বাজলে ফের আবার অন্য প্রান্তে দৌড়ে যেতে হয়। দু’টি বাঁশির মাঝের সময় ক্রমে কমতে থাকে। ফলে গতি বাড়িয়ে লক্ষে পৌঁছাতে হয় দ্রুত।
১৩তম আইপিএল খেলতে এই মুহূর্তে আমিরশাহিতে রয়েছেন কোহলি। সেখান থেকেই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘আমিই প্রথম এটা শুরু করি। দলের সবাইকেই এই পরীক্ষা দিতে হয়। যদি আমি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারি, তা হলে দল নির্বাচনের সময় আমার নাম বিবেচিত নাও হতে পারে। দলে এই ফিটনেস সংস্কৃতি চালু করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর ফলে ভারতীয় দলের ফিটনেস অনেকটাই উন্নত হয়েছে। ’’
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্যারালিম্পিকক্স জ্যাভলিন ছোড়ায় সোনাজয়ী দেবেন্দ্র ঝাঝরিয়া, জম্মু ও কাশ্মীরের মহিলা ফুটবলার আফশান আশিক। এ ছাড়াও ফিটনেসপ্রেমী মডেল ও অভিনেতা মিলিন্দ সোমান ও পুষ্টিবিশেষজ্ঞ রুজুতা দিওয়েকরও ছিলেন আলোচনায়।
news24bd.tv নাজিম