বড় বিস্ফোরণের আশঙ্কা চট্টগ্রাম বন্দরে

বাবু কামরুজ্জামান, নয়ন বড়ুয়া জয়

রাসায়নিক বিস্ফোরণের চরম ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম বন্দর ও আশপাশের এলাকা। যেকোন সময় বড় ধরনের বিস্ফোরণসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশংকা করছে খোদ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।  

গেল প্রায় তিন দশকের জমা ক্ষতিকর রাসায়নিক মালামালের বিপুল মজুত দ্রুত সরাতে কাস্টমসকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। তবে এখনো নেয়া হয়নি কার্যকর কোন উদ্যোগ।

বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, গাফিলতির কারণে ঘটতে পারে ভয়াবহ কোন দুর্ঘটনা।  


আরও পড়ুন: শীতকালে কী করোনা সংক্রমণ বাড়বে? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা (ভিডিওসহ)


দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে ক্ষতিকর রাসায়নিক মালামাল আনা হলেও আমদানিকারকরা তা নিয়ম মেনে ছাড়িয়ে নিয়ে যাননি। এ সবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে বিস্ফোরক, বিপজ্জনক গ্যাস, দাহ্য পন্য, বিষাক্ত তেজস্ক্রীয় পন্য ও জার দ্রব্য। এগুলো আটকা আছে বন্দরের শেডে।

এ ছাড়া সম্প্রতি   বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যাপক হারে আমদানি হচ্ছে। ফলে বন্দরে তৈরি হয়েছে উচ্চ নিরাপত্তা ঝুঁকি।  

কিছুদিন আগে বন্দরে এক শেডে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। এছাড়া সম্প্রতি লেবানন বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর কিছুটা নড়েচড়ে বসে বন্দর কর্তৃপক্ষ। রাসয়নিক দ্রব্য অপসারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক।  

কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার মাহবুব হাসান বলেছেন, নিলামে কিছু কিছু রাসায়নিক উঠেছে। বেশিরভাগ রাসায়নিক নিলামে না গেলেও ধ্ংস করা হবে। তবে কবে ধ্ংস করা হবে তা অজানা।  

১৯৯২ সালে আমদানি করা রাসায়নিক এখনো বন্দরে পড়ে আছে বলে জানান সি অ্যান্ড এফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু। দ্রুত এসব রাসায়নিক  জরিপ করে সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও।

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৪টি শেড ও বিভিন্ন ইয়ার্ডে বর্তমানে নিলামযোগ্য পন্য আছে প্রায় ৫ হাজার কন্টেইনার। বৈরুতের মতো পরিস্থিতি এড়াতে বিপজ্জনক পন্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

news24bd.tv নাজিম