সবার প্রতিনিধিত্ব করব: কোবিন্দ

সবার প্রতিনিধিত্ব করব: কোবিন্দ

মোক্তাদির আহাম্মেদ

বিজয়ী ভাষণে মীরা কুমারকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি রামনাথ কোবিন্দ। উকিল, রাজনীতিক, দলিত নেতা, সাংসদ- তার নামের সঙ্গে জুড়ে ছিল এমন অনেক পরিচয়। আর কদিন পরই তিনি দেশের প্রথম নাগরিক। একাত্তর বছরের এই পোড় খাওয়া ব্যক্তিও আজ রীতিমতো আবেগে ভেসে গেলেন।

 

বৃহস্পতিবার দেশের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর নিজেকে যেন আর বশে রাখতে পারলেন না রামনাথ কোবিন্দ। বললেন, এটা আমার কাছে অত্যন্ত আবেগময় মুহূর্ত।

এনডিএ'র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়নের পর থেকে কোবিন্দের দিকেই জয়ের পাল্লা ঝুঁকে ছিল। হলও তাই।

রাইসিনা হিলসে যাওয়ার পথে কোবিন্দ দখল করলেন ২,৯৩০টি ভোট। যার ভোটমূল্য ৭,০২,০৪৪।  

১৯৯৭-সালে কে আর নারায়ণনের পর দেশের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিবেন আগামী ২৫ জুলাই। তার লড়াইও ছিল আরও এক দলিত মীরা কুমারের বিরুদ্ধে। ১০ নম্বর আকবর রোড থেকে বিজয়ী ভাষণে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি কোবিন্দ। সেই সঙ্গে স্মরণ করলেন রাজনীতির আঙিনায় তার পূর্বসূরিদেরও। বললেন- এস রাধাকৃষ্ণণ, এপিজে আব্দুল কালাম এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টদের পদচিহ্ন অনুসরণ করাটাও তার কাছে সম্মানের বিষয়।

উত্তর প্রদেশের গ্রামের অতি সাধারণ এক দলিত পরিবারে বেড়ে ওঠা থেকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ- কোবিন্দের যাত্রাপথ সত্যিই সমীহ আদায় করে নেয়। নিজের লড়াইয়ের কথা মনে করেই যেন তিনি বলেন, 'সবার প্রতিনিধিত্ব করব। নিজের রুজিরোজগারের জন্য যারা প্রতি দিন লড়াই করছেন, আমি তাদের হয়েও প্রতিনিধিত্ব করব। আমার জয় আসলে ভারতীয় গণতন্ত্রেরই জয়।

কোবিন্দের এই জয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অনেকেই। বিজেপি'র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এই জয়কে 'ঐতিহাসিক' বলে আখ্যা দিয়েছেন। কোবিন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরাজিত প্রার্থী মীরা কুমারও।