মানুষের হৃদয়ে আছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক

সুকন্যা আমীর

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোনো হয়নি, তবে পৃথিবীর পাঠশালায় তিনি এক সফল ছাত্র। খুব কম বয়সেই পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। শিল্প-সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকে। তাইতো সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে স্বৈরতন্ত্র জায়েজ কথা মানায় সৈয়দ শামসুল হকের মুখেই।

সব্যসাচী এই লেখকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে নিউজ টোয়েন্টিফোরের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী।  

news24bd.tv

কৈশরেই ঠিক করেছিলেন ভবিষ্যতের লক্ষ্য। অকপটে বাবাকে জানিয়েছিলেন লেখক হবার স্বপ্ন। কুড়িগ্রামে বেড়ে ওঠা সেই কিশোরের জেদের প্রমাণ মেলে সব্যসাচী নামে।

দু’হাত ভরে তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ও গান লিখে বাংলা সাহিত্যকে করেছেন সমৃদ্ধ। তাইতো, সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে স্বৈরতন্ত্র জায়েজ, কথাটি কেবল তাঁরই মুখে মানায়।

news24bd.tv

তিনি মিশেছেন মানুষের সাথে, লিখেছেন মানুষের কথা। নুরলদীনের সারাজীবন কিংবা পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়-নাটকগুলো তারই প্রমাণ।


আরও পড়ুন: সড়কে জলাবদ্ধতা: দুর্ভোগে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক এলাকার মানুষ


তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস দেয়ালের দেশ। গণনায়ক, ঈর্ষা, নীল দংশন, নিষিদ্ধ লোবান, বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা’র মতো অজস্র বই, আজো রয়েছে পাঠকের হাতে। চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য এবং জনপ্রিয় গানও লিখেছেন সৈয়দ শামসুল হক। মৃত্যুর আগে লন্ডনে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এক আড্ডার মাধ্যমে চেয়েছেন নিজের সৃষ্টিকর্মের মূল্যায়ন।   

২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জীবনের পাঠ চুকিয়েছেন তিনি। তবুও বাঙালীর পরাণের গহীন ভিতরে আজো বাস করেন এই সব্যসাচী।

news24bd.tv সুরুজ আহমেদ