শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের অচলাবস্থা

ঢাকা-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ের সুফল পাচ্ছে না মানুষ

সজল দাস

‘ফেরিঘাটে ভোগান্তি’ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে অতি পরিচিত এক নাম। অতিরিক্ত স্রোত, নাব্য সংকট কিংবা কুয়াশা- নানা কারণে মাঝেমধ্যেই বন্ধ থাকে ফেরি চলাচল। দুর্ভোগ বাড়ে মানুষের, বিঘ্ন হয় পণ্য পরিবহন। এমনকি ফেরি পারাবারের এই সমস্যায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়েরও সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

অপেক্ষা স্বপ্নের পদ্মা সেতুর, যা অবসান ঘটাবে এই দুর্ভোগের, কারণ হবে ২১ জেলার আঞ্চলিক উন্নয়নের।

নাব্য সংকটে বাঁধাগ্রস্ত ফেরি চলাচল। মাঝেমধ্যেই দীর্ঘ যানজটে নাকাল দেশের দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রী ও পণ্য পরিবহন।

দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করতে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে।

ফেরি চলাচলের সমস্যায় যার সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না ব্যবহারকারীরা। কখনো অতিরিক্ত স্রোত, কখনো নাব্য সংকট কিংবা কখনো ঘন কুয়াশা নানা কারণে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে ফেরি চলাচল। ঢাকা থেকে এক, দেড় ঘণ্টায় মাওয়া ঘাটে পৌঁছালেও ফেরি চলাচলের সমস্যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনকারী যানবাহনকে।

ফেরি ঘাটের এই অচলবস্থা দুর্ভোগ বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের।

অপেক্ষা পদ্মা সেতুর। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের এই ভোগান্তি কমাতে অনেকটাই এগিয়েছে পদ্মা সেতুর কাজ। যা দৃশ্যমান পদ্মার বুকে।  

তবে, করোনা ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার প্রেক্ষাপটে আগামী বছরের জুনে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২২ সালের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা বলছে সরকার। কোটি মানুষের স্বপ্ন পদ্মা সেতু। যার ওপর নির্ভর করছে দক্ষিণাঞ্চেলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিতকরণ। তাই, বিলম্ব না করে দ্রুতই কাজ শেষ করার দাবি সবার।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর