গত ৪ মাসে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের হাতে ১৩টি চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, রাজধানীর ১০ টি থানা এলাকায় ৩২টি কিশোর গ্যাং এর, প্রায় সাড়ে ৫’শ সদস্য সক্রিয়।
রাজনৈতিক বড় ভাইয়ের মদদে, তাদের অনেকেই পরবর্তী গ্যাংস্টার হওয়ার দৌড়ে আছে। ব্যবহার করছে দেশি-বিদেশি ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র।
তাদের বেশিরভাগই, নেশায় বুদ। কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে ১২ দফা সুপারিশও করেছে, একটি গোয়েন্দা সংস্থা।কিশোর সন্ত্রাসীদের তৎপরতা সিনেমার একশন দৃশ্যকেও হার মানান। ধারালো অস্ত্র হাতে বেপরওয়াভাবে নৃশংস হওয়া এখন তাদের কাছে, নিত্যদিনের ঘটনা।
কিভাবে একজন কিশোর, সন্ত্রাসীতে রূপ নেয়, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।
তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং আধুনিকায়নের সাথে সম্পৃক্ত। কিশোর সংশোধনাগারে কোন ভাবেই এসব কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীদের শোধন করা সম্ভব নয়। কারণ সেখানে যে শিক্ষা দেয়া হয় সংশোধন হওয়ার ছিটে ফোটাও সংশোধনাগারে নেই।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার বলছেন, সাম্প্রতিক কিশোর অপরাধগুলোর পেছনের কারণ, তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার।
আরও পড়ুন: সাহেদের অস্ত্র মামলার রায় আজ
আর র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলছেন, অস্ত্র ব্যবসায়ীদের টার্গেট এখন কিশোর গ্যাং। বিভিন্ন অভিযানে দেখা যায়, গ্যাং সদস্যরা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছে। এছাড়াও এলাকার বড় ভাইদের ক্ষমতায় তাদের অপরাধের আরেকটি কারণ।
সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে, ১২ দফা সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম সুপারিশ হলো, কিশোরদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া, তাদের নিয়মিত কাউন্সিলিং করা। প্রতিবেদনটি এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
news24bd.tv সুরুজ আহমেদ