প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এখনও পানিতে ভাসছে গোটা রংপুর নগরী। তলিয়ে গেছে ১৪৮টি এলাকা। পানিবন্দি ৪০ হাজার মানুষ। ঘর-বাড়ি ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন স্কুল-কলেজে।
শনিবার থেকে অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ আসেনি। ফলে রান্না, পানি সংকটসহ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। সিটি করপোরেশনের উদাসীনতার পাশাপাশি স্মরণকালের এমন জলাবদ্ধতার জন্য শহরের শ্যামাসুন্দর খাল ভরাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়াকে দায়ী করেছেন রংপুরবাসী।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ১শ বছরের ইতিহাস ভেঙ্গে রংপুরে রেকর্ড ৪শ ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ডুবে যায় গোটা নগরী।
নগরীর বুক চিরে যাওয়া শ্যামাসুন্দরী খালের দু'ধারে পানি বন্দি অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। খাবার পানি সংকট, রান্না বন্ধ থাকায় এক রকম না খেয়েই দিন কাটছে দুর্গতদের। এমন দুর্যোগেও সিটি মেয়র কিংবা প্রশাসনের কোন সাহায্য সহযোগিতা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগিরা।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের ফেরাতে সৌদি আরবে বিমানের আরও ১২টি বিশেষ ফ্লাইট
এদিকে, দায়সারা বক্তব্য দিয়েই দায়ীত্ব এড়িয়ে যেতে চাইলেন প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু।
এদিকে গত শনিবার থেকে নগরীর মুলাটোল,মুন্সীপাড়া, মিস্ত্রীপাড়া ও জলকর এলাকা বিদ্যুৎবিহীন। তবে, কখন বিদ্যুৎ আসবে তার কোন জবাব মেলেনি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে।
news24bd.tv সুরুজ আহমেদ