কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে জখম, আর সব শেষ গণধর্ষণ। ঘুরে ফিরে অভিযুক্তদের পরিচয় একই। স্থানীয় সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এর জন্য দায়ী। বেপরোয়া ছাত্রলীগের জন্য কেউ কেউ অবশ্য রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকেই দায়ী করছেন।
ছাত্রলীগের আধিপত্যের লড়াইয়ে কথা স্বীকার করে এসব বিষয় সুযোগ মতো প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সভাপতি।
২০১২ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়া হয়। সেই সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের মধ্যে। পুড়ে ছাই হয় ছাত্রাবাসটির ৪২টি কক্ষ।
বলা হয়, ছাত্রলীগের নামে তখন তাণ্ডব দেখানো শুরু হয়।
ওই ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ছাত্রলীগের ১০ জন এবং ছাত্র শিবিরের ১৯জনকে দায়ী করে প্রতিবেদন দেয়। ছাত্রাবাসে আগুনের ঘটনায় একাধিক মামলা হলেও শাস্তির আওতায় আসেনি কোনো অপরাধী।
২০১৬ সালে এমসি কলেজে পরীক্ষা দিতে এসে রক্তাক্ত হন সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল প্রকাশ্যে তাকে কুপিয়ে যখম করে। সেই ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয় সারা দেশে।
ঐতিহ্যবাহী এই এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সব শেষ অপরাধ স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণ ধর্ষণ। এবারও আলোচনায় ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা।
গডফাদারদের প্রশ্রয় এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই এই ঘটনাগুলো বারবার ঘটছে বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজনের সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ই.ইউ এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম বলেছেন ছাত্র সংগঠনগুলোর এমন কর্মকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নই দায়ী।
ছাত্রলীগের নানা অপকর্মের পাশাপাশি তাদের জবরদখলের কথা স্বীকার করলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে এসব বিষয় তুলে ধরার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
ফাইল ছবি
আগের ঘটনাগুলোর মতো এবারের ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ট হলে ভবিষ্যতে আরো বড় ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন এই বিশিষ্টজনেরা।
এদিকে, দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
news24bd.tv তৌহিদ
