রিয়া চক্রবর্তীর জামিন খারিজের আবেদন জানিয়েছে এনসিবি। হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ তুলেছে এনসিবি।
সংস্থাটির অভিযোগ, সুশান্ত মাদক নিতেন। জেনেও সেকথা চেপে গেছেন রিয়া।
শুধু তাই নয় তাকে মাদকও কিনে দিয়েছেন তিনি।এনসিবি বলছে, তদন্তের এই পর্যায়ে তাই রিয়াকে জামিন দেওয়া উচিত নয়।
এদিন বম্বে হাইকোর্টে রিয়ার জামিনের শুনানি রয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রিয়ার জামিনের আবেদন নিয়ে এনসিবিকে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
তাতে বলেছে, রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিক ‘মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। উচ্চবিত্ত লোকজন এবং মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাদের। ’
তবে এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে হলফনামায় জানিয়েছেন, রিয়ার নিজে কখনও মাদক নেননি। ‘রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের তথ্য ঘেঁটে এনসিবি জেনেছে, তিনি মাদকের দাম মিটিয়েছেন। এর থেকে প্রমাণিত যে জামিনের আবেদনকারী রিয়া শুধু বেআইনিভাবে মাদক কেনেননি, টাকাও জুগিয়েছেন। ক্রেডিট কার্ড বা নগদ বা অন্য মাধ্যমে টাকা দিয়ে মাদক কিনেছেন তিনি। ’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অভিনব প্রতারণা
হলফনামায় রিয়ার সঙ্গে অনুজ কেশওয়ানির যোগের কথাও বলা হয়েছে। এই অনুজের থেকে এলএসডি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি এও অভিযোগ করা হয়েছে, রিয়া জেনেও সুশান্তের মাদকাসক্তির কথা প্রকাশ করেননি। গোপন করে গেছেন। এসব কারণে তাঁর বিরুদ্ধে নার্কোটিক ড্রাগ অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস আইন (এনডিপিএস)–এর ২৭এ ধারা প্রযোজ্য। এই পর্যায়ে তাঁকে জামিন দিলে তদন্তের ক্ষতি হতে পারে।
একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরে রিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে এনসিবি। অভিযোগ আনা হয়, সুশান্তকে মাদক জোগাতেন তিনি। ৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনসিবি। তাঁর ভাইকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
news24bd.tv নাজিম