শেরপুরে পাষণ্ড বাবা নিজ সন্তানকে অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়ার প্রতিবাদে ইউরিয়া সার খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে মা। পরে খবর পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা মা সুমা আক্তার এবং কানাশাখোলা এলাকায় জনৈক শফিকের কাছে বিক্রি করে দেওয়া শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে শিশুটির বাবা সুলতান মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী এলাকায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সাপমারী গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সুলতান মিয়া দুই স্ত্রী থাকার পর গত দুই বছর পূর্বে গাজীপুর জেলার মাওনা এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে সুমা আক্তারকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
এদিকে তাদের দাম্পত্য ও সংসার জীবনে সুমা আক্তার গভবর্তী হয়। পরে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে তার সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এদিকে সিজারের জন্য স্বামী সুলতান ২২ হাজার টাকা খরচ করেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর আগে মাটিতে লিখে যাওয়া নাম দেখেই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার
যদিও শফিকের দাবি, সে শিশুটিকে কিনে নয়, বরং তার সন্তান না থাকায় লালন-পালন করতে দত্তক নিয়েছিল।
এদিকে আজ শিশুটির মা সুমা আক্তার তার শিশুর খোঁজে শফিকের বাসায় যায়। এসময় ক্রেতা শফিক শিশুটি তার বাসায় নেই বলে তাড়িয়ে দেয়। পরে স্থানীয় কানাশাখোলা বাজারে ইউরিয়া সার খেয়ে সুমা আক্তার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে সুমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
news24bd.tv তৌহিদ