মহামারীর ধাক্কায় বিশ্বব্যাপী কমছে শ্রম আয়ের পরিমাণ। বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট হিসাব না থাকলেও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও জানিয়েছে উন্নয়নশীল দেশসহ বাংলাদেশের মতো উঠতি অর্থনীতির দেশগুলোয় শ্রম আয় কমবে আরো বেশি।
সংস্থার হিসাবে এরই মধ্যে চলতি বছরের ৯ মাসে বিশ্বব্যাপী শ্রম আয় কমেছে সাড়ে তিন লাখ কোটি ডলার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভবিষ্যৎ এই অনিশ্চয়তা দূর করতে নিতে হবে বড় আকারের কর্মসংস্থান লক্ষ্য।
নয়তো দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে বেকারত্বের সঙ্কট।মহামারীর ধাক্কায় পছন্দের কাজ পাওয়া তো দূরে থাক উল্টো কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে বা খণ্ডকালীন কাজ করেন করোনার ধাক্কায় এমন অনানুষ্ঠানিক খাতেই কাজ হারিয়েছেন প্রায় ১ কোটি মানুষ।
হিসাব বলছে, প্রতিবছর দেশের প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী বাংলাদেশের চাকরির বাজারে যোগদান করেন।
তবে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪.২% হলেও যুব বেকারত্বের হার ১১.৬ শতাংশ। করোনাভাইরাসের প্রভাবে যা কয়েকগুণে বেড়েছে। এ বাস্তবতায় আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় শ্রম আয় কমেছে ১৫ শতাংশেরও বেশি। যা আরো কমতে পারে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস আজ
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ বলেন, শ্রমিকের আয় কমেছে। এবং আয় কমার কারণ কর্মসংস্থান কমেছে। যারা কারখানা বন্ধ করেছে তারা এখনও কাজে ফিরতে পারেনি।
শ্রম আয়ের এমন অনিশ্চয়তা কাটাতে কর্মসংস্থান নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং খাতভিত্তিক কাজের সুযোগ তৈরির তাগিদ দিয়েছেন আইএলও’র সাবেক উপদেষ্টা রিজওয়ানুল ইসলাম।
রাজধানীতে একটু একটু করে কর্মব্যস্ততা বাড়লেও গেল কয়েকমাসে ব্যবসা না হওয়ায় কর্মী ছাঁটাই এবং বেতন কমিয়েছেন অনেক বড় মাঝারি ও ছোট কোম্পানি।
news24bd.tv সুরুজ আহমেদ