ধর্ষণের আরেক রোমহর্ষণ ঘটনা: স্বামীসহ তিন আসামি গ্রেপ্তার

ধর্ষণের আরেক রোমহর্ষণ ঘটনা: স্বামীসহ তিন আসামি গ্রেপ্তার

তানভীর আজাদ মামুন, জামালপুর

জামালপুরে স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলায় স্বামী সুজন মিয়া (৩৫), অভিযুক্ত নুরনবী (৪০) ও ধর্ষণে সহায়তাকারী রাজিয়া বেগমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪। রোববার রাতে জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ও মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার দুপুরে র‌্যাব-১৪ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের সহকারি পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানা জানান, জামালপুর সদর উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. সুজন মিয়া (৩৫) প্রথম স্ত্রী মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মোছা. জাহানারা বেগমকে (৩২) দেড় বছর আগে তালাক দিয়ে মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর গ্রামের মো. মজিবর রহমানের মেয়ে মোছা. চায়না বেগমকে (২৫) বিয়ে করে।

আরও পড়ুন: ৮৫ বছরের বৃদ্ধকে হাতেনাতে ধরল জনতা, অভিযোগ ধর্ষণের

বিয়ের এক বছর পর সুজন মিয়া পুনরায় প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী চায়না বেগমকে তালাক দেয়।

তালাকের পর চায়না বেগম মেলান্দহে তার বাবার বাড়ি চলে আসে। চলতি বছরের মে মাসে সুজন মিয়া পুনরায় চায়না বেগমকে বিয়ে করে জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাসিল বটতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বামী সুজন মিয়া তার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দ্বিতীয় স্ত্রী চায়না বেগমকে মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামে প্রথম স্ত্রীর বড় বোন রাজিয়া বেগমের স্বামী নুরনবীর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রীকে জোরপূর্বক তালাক দিতে চাপ প্রয়োগ করে সুজন মিয়া, কিন্তু তালাকের কাগজে স্বাক্ষর না করায় চায়না বেগমকে মারধর করা হয়।

আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে ঝগড়া, প্রতিশোধ ধর্ষণ করে

এক পর্যায়ে স্বামী সুজন মিয়া, প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগম ও তার বড় বোন রাজিয়া বেগমের সহায়তার প্রথম স্ত্রীর ভাই মিজানুর রহমান ও রাজিয়া বেগমের স্বামী নুরনবী পালাক্রমে চায়না বেগমকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর চায়না বেগমকে হাসিল বটতলার ভাড়া বাড়িতে রেখে যায় তার স্বামী সুজন মিয়া ও মিজানুর রহমান এবং এই ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ফের ধর্ষণ, এরার জড়িত শ্রমিক লীগ

এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার চায়না বেগম। পরে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় র‌্যাব-১৪, অভিযানে ধর্ষক নুরনবী, ধর্ষণে সহায়তাকারী স্বামী সুজন মিয়া ও রাজিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর