অচেতন করে পুত্রবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করত শ্বশুর

অচেতন করে পুত্রবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করত শ্বশুর

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্বশুরের নাম মিলন মিয়া (৫৫)।  

তিনি উপজেলার বিহার ইউনিয়নের বিহার উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত করেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে পাশের গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ পান। ট্রাকে ডিডটি করার কারণে গৃহবধূর স্বামী ২০/২১ দিন পরপর বাড়িতে আসেন। এই সুযোগে শ্বশুর মিলন মিয়ার কু-দৃষ্টি পড়ে পুত্রবধূর দিকে।

ছেলে বাড়িতে না থাকার সুযোগে মিলন মিয়া মাঝে মধ্যেই গভীর রাতে পুত্রবধূর ঘরে ঢুকে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এতে পুত্রবধূ জেগে উঠলে শ্বশুর পালিয়ে যেতেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরে কৌশল পরিবর্তন করে মিলন মিয়া তার পুত্রবধূকে গাভীর দুধের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দিতেন। তখন পুত্রবধূ দুধ পান করে গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লে শ্বশুর তার কক্ষে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করতেন। এরপর পুত্রবধূ অনেক দেরি করে ঘুম থেকে উঠতেন এবং তার পরিধেয় বস্ত্র এলোমেলো হয়ে থাকতো।

আরও পড়ুন: ফের ধর্ষণ, এবার জড়িত শ্রমিক লীগ

বিষয়টি পুত্রবধূর সন্দেহ হলে তিনি নিজেই কৌশলে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণের চেষ্টা করেন। ‍এক পর্যায়ে গত ২৬ জুলাই গৃহবধূ শয়ন কক্ষে ঘুমানোর ভান করে থাকলে গভীর রাতে শ্বশুর মিলন মিয়া তার শয়ন কক্ষে আসেন। এরপর তাকে ধর্ষণ করলে ওই গৃহবধূ কৌশলে তা মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করা হয় কিন্তু এর কোনো প্রতিকার না পেয়ে ওই গৃহবধূ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় থানায় মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: বৃদ্ধের কাণ্ড, ‌‘ধর্ষণের’ পর শিশুকে ধরিয়ে দিল ৫০০ টাকা

ওসি এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর পুলিশ রাতেই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে ভিডিও চিত্রটি থানা পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন ওই গৃহবধূ। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে মিলন মিয়াকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ’

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর