গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ লুকাতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার

গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ লুকাতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

বাগেরহাটে ছয় মাসের গর্ভবতী দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুম করতে গিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।  

গ্রেপ্তারকৃত কনষ্টেবলের নাম সাদ্দাম হোসেন। তার বাড়ী সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনী এলাকায়।

 

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির কনষ্টেবল সাদ্দাম হোসেন জোসনা বেগম (৩০) নামে বাচ্চাসহ স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। সেই জোসনা বেগমকে নিয়ে বাগেরহাটের শরণখোলার তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িসংলগ্ন ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। রাতে জোসনার আগের ঘরের বাচ্চা নিয়ে কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম স্বীকার করেছে। নিহত জোসনা বেগমের বাড়ী খুলনার রূপসা উপজেলায়।

 


আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে বরিশালের চার শিশুকে বাড়ি পৌঁছে দিল প্রশাসন


হত্যার পর সাদ্দাম জোসনার লাশ টুকরা টুকরা করে কেটে বস্তায় ভরে গভীর রাতে মাটিতে পুতে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনা টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।  

খবর পেয়ে পুলিশ এসে সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে। খবর পেয়ে রাতেই বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়ধাল গ্রামের আব্দুল লতিফ গাজীর ছেলে। কনস্টেবল সাদ্দামের প্রথম স্ত্রী সাতক্ষীরায় সাদ্দামের বাবা-মায়ের কাছে থাকে বলে পুলিশ জানায়।  

বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, ঘাতক পুলিশ সদস্য সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রকৃত ঘটনার বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।  

news24bd.tv নাজিম