বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূতরা কে কেমন?

বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূতরা কে কেমন?

মামুদ করিম

এক:

বিক্রম দোরাইস্বামী । বাংলাদেশে ভারতের নতুন হাই কমিশনার । গতকাল ৮ অক্টোবর ২০২০ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন । তারপর সোজা গুলশানের ইন্ডিয়া হাউসে সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে ।

উন্মুক্ত সবুজ চত্বরে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন । ছোট বড় সব মিডিয়াকে ভারতীয় হাই কমিশন আমন্ত্রন জানিয়েছিল । ফলে গোটা সবুজ চত্বর ভরে যায় । সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে তিনি কিছুটা বাংলায় বক্তব্য রেখেছেন ।
তারপর ইংরেজিতে বক্তব্য রাখেন ।

বিক্রম দোরাইস্বামী বাঙালী নন, তামিলনাড়ুর বাসিন্দা । তবে তার স্ত্রী বাংলাদেশী । ফলে তিনি কিছু বাংলা বলতে পারেন । তবে বাংলা বোঝেন । ইংরেজি ও হিন্দি তার মূল ভাষা । আমার জানা মতে, বাংলাদেশে বিক্রম দোরাইস্বামী প্রথম কোনও ভারতীয় হাইকমিশনার যিনি প্রথম সংবাদ সম্মেলন এত বড় আকারে করলেন । বড় এক্সপোজার । শোডাউন । যদিও তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন । মোট পাঁচটি প্রশ্ন নিয়েছেন ।
বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর ।  

ঘটনাচক্রে একই দিনে গতকাল ঢাকায় ইন্ডিয়া হাউসে তার সঙ্গে দ্বিতীয়বার আমার সাক্ষাৎ হলো । ২০১৮ সালে ভারত সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের একটি সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের আমন্ত্রণে ভারত সফর করেছিলাম । দিল্লিতে সাউথ ব্লকে তখনকার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংয়ের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাত ছিল । দোরাইস্বামী তখন ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সংক্রান্ত ডেস্কের প্রধান । সম্ভবত ওই সময়ে আলাপচারিতায় তিনি আমাদের বলেছিলেন তাঁর স্ত্রী বাংলাদেশী । ঢাকায় হাইকমিশনার হিসাবে পোষ্টিং পাওয়ার পর দিল্লিতে আমার বন্ধু মহল আমাকে দোরাইস্বামী সম্পর্কে আরও বিস্তৃত ধারণা দিয়েছেন । তারা আমাকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন । তারপর তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন । কূটনীতিক হিসাবে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষন, প্রোঅ্যাক্টিভ, গতিশীল । ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বক্তৃতায় বলেছেন, " আমি ও আমার সহকর্মিরা দুই দেশের অংশীদারিত্বকে সর্বস্তরে প্রচার করতে কোনও সুযোগই ছাড়ব না । আমরা এমনভাবে কাজ করব যাতে আপনারা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন এবং যা আপনাদের অগ্রাধিকারের পূর্ণ সম্মান নিশ্চিত করে এবং এ বন্ধুত্বের প্রতি আমাদের মূল্যবোধকে প্রকাশ করে " । তার এসব বক্তব্য আমার ভাল লেগেছে । বক্তব্য রাখার পর তিনি মঞ্চ থেকে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন । ওই সময় আমি ভীড় ঠেলে নতুন হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে যাই ।
আমি তাকে মনে করিয়ে দিলাম যে, দিল্লিতে আমাদের দেখা হয়েছিল ।  

দোরাইস্বামী  আমাকে বলেন, "আমার মনে আছে । আপনার চেহারাও আমার মনে আছে" । আমি ধরে নিয়েছি, এটা সম্ভবত সৌজন্য দেখাতে বলেছেন । এতদিন পর আমার চেহারা তার মনে থাকার কথা নয় । আবার এটাও হতে পারে যে, বাংলাদেশের মিডিয়া সম্পর্কে তিনি খোঁজ নিয়ে এসেছেন । এক্ষেত্রে, আমার নাম তার শোনা অস্বাভাবিক নয়।
 
তিনি বক্তৃতায় বলেছেন, তিনি বাংলা কিছুটা বোঝেন । তবে বাংলাদেশে ভালভাবে তা আমাদের কাছে শিখবেন । কুশল বিনিময়ের সময়েও তিনি ভাঙা ভাঙা বাংলা বলার চেষ্টা করেছেন । আমি হাসতে হাসতে বললাম, বৌদি ভালই শিখিয়েছেন ।  
দোরাইস্বামী বলেন, শি টিচেস মি । রসিকতা করতেও ছাড়লেন না । বললেন, আমিতো জামাইবাবু । তবে আসল জামাইবাবু প্রণব মুখার্জি ।  

ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশে বিয়ে করেছেন । তার স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি নড়াইলের মেয়ে । প্রণব মুখার্জি সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন ।

মহামারীর কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ । তিনি ৫ অক্টোবর আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সরাসরি ধানমন্ডিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন । আজ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন । পরিচয়পত্র পেশ করে প্রথম আমাদের মতো মাঠের সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন । আজ আমাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিকদের সঙ্গে তার মতবিনিময়ের কথা রয়েছে ।

দুই:

একটা সময় ছিল যখন ভারতের কূটনীতিকরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেন না । তারা চলাচল করতেন সঙ্গোপনে যাতে তাদের চেহারা মিডিয়ায় দেখা না যায় । প্রয়াত মনিলাল ত্রিপাঠিকে দেখেছি, রৌমারীর রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘিরে প্রচুর দৌড়ঝাপ করেছেন । তিনি ছিলেন বিশাল দেহের অধিকারী । কিন্তু তার চেহারা খুব কম মিডিয়ায় দেখা গেছে । আমি নিজে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি । কুশল বিনিময়ের বাইরে তিনি যেতে চাননি ।  

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রণে আমি একবার বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের হয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলাম । ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারতের কনসাল জেনারেল সেখানে অবস্থানরত ভারতীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়েরর আয়োজন করেন । আমাদের প্রতিনিধি দলকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় । হল ভর্তি প্রবাসী ভারতীয়দের মাঝে বিদেশী অতিথি হিসাবে আমাদেরকে প্রথমসারিতে বসতে দেয়া হয় । আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম । তাই ভারতের কনসাল জেনারেলের বক্তৃতার সময়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি । দর্শকদের প্রথমসারিতে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে সেটা ভাল দেখায় না । আমার সহকর্মিরা আমাকে চিমটি কাটছে ।  
ফিসফিস করে কানেকানে বলছে, খুব খারাপ দেখাচ্ছে ! এভাবে ঘুমিয়ে পড়বেন না ।  

সামনের সারিতে বসা সবাই আপনার দিকে তাকাচ্ছে । আমি এতই ক্লান্ত ছিলাম যে, আবার ঘুমিয়ে পড়ি । প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রবাসী ভারতীয়ের প্রশ্ন শুনে আমার ঘুম পুরোপুরি চলে যায় । তার প্রশ্নের মর্মার্থ ছিল, ভারতের পাশে ছোট বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে বাড়াবাড়ি করছে । বড় ভাই হিসাবে ভারত কেন খবরদারি করছে না ?

ওই অনুষ্ঠানে আমরা ছিলাম পর্যবেক্ষক । কথা বলার সুযোগ ও পরিবেশ ছিল না । আমি তাই কান খাড়া করে ভারতীয় কনসাল জেনারেলের জবাব শোনার অপেক্ষা করছিলাম ।  

কনসাল জেনারেল জবাব দেন একটা গল্প বলে । পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসাবে জিয়া উল হক একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন । ঢাকায় বিমানবন্দরে নামার পর পরিচয় পর্ব চলছিল । অভ্যর্থনার লাইনে ভারতের হাই কমিশনারও ছিলেন । তিনি ছিলেন খুব খাটো । জিয়া উল হক পরিচয় শুনে করমর্দন করে তার সামনে দাঁড়ালেন । কিছুটা খোঁচা দিয়ে রসিকতা করে বললেন, বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনার এত খাটো কেন ? এদেশেতো বড়সড় হাই কমিশনার দেয়ার কথা ! বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে চলবে ! 
ভারতের হাই কমিশনার হাসতে হাসতে জবাব দিলেন, "এদেশে আমরা খুব লো প্রোফাইল মেন্টেইন করে চলি" । ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারতের কনসাল জেনারেল বললেন, ভারত বাংলাদেশের বড় ভাই নয় । আমরা পরস্পরের বন্ধু ।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরী আমাকে "বঙ্গবন্ধু স্মরণে" নামের একটি বই উপহার দিয়েছিলেন । সেখানে এক সময়ে ঢাকায় ভারতীয় কূটনীতিক জে এন দীক্ষিতের "লিবারেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড" নামের একটি বইয়ের উদ্ধৃতি আছে । দীক্ষিত পরবর্তি সময়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হয়েছিলেন । দীক্ষিত তার বইয়ে লিখেছেন, স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের অনেক কিছু ভারতের মনপুত ছিল না । শেখ মুজিব ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাইতেন । পাশাপাশি, এটাও চাইতেন যে, বাংলাদেশ যেন ভারতের করদ রাজ্য না হয় । অপরাপর দেশের সঙ্গেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠুক । বাঙালী সংস্কৃতি ও ভাষার পরিচয়ের বাইরেও মুসলিম পরিচয়ে বাংলাদেশ পরিচিত হোক ।  

পেশাগত কারণে ভারতীয় হাই কমিশনারদের সঙ্গে আমার নিবিড় সখ্যতা গড়ে ওঠে । এ যাবত আমার সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে ছিল বীণা সিক্রির সঙ্গে । ইন্ডিয়া হাউসে তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আমার একান্ত আলাপ হয়েছে । তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ এখনও আছে । দিল্লি গেলে তার সঙ্গে দেখা না করে আসি না । তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে চেষ্টা করি । একবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর কাভার করতে দিল্লি গেলাম । বীনা সিক্রিকে ফোন করলে তিনি আমাকে সন্ধ্যায় দিল্লির অফিসার্স ক্লাবে আমন্ত্রন জানান । তিনি ঢাকাই কাতানের শাড়ি পড়ে হাজির । রকমারি খাবারে ডিনার করালেন ।  

বীনা সিক্রির ঢাকায় থাকাকালের একটা ঘটনা বলি । মোরশেদ খান তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী । ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে মোরশেদ খানের এক পাশে বীনা সিক্রি অন্য পাশে পাকিস্তানি হাই কমিশনার । তাদের সামনে বক্তৃতায় মোরশেদ খান ভারতের কড়া সমালোচনা করলেন । এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মোরশেদ খান বললেন, ভারতের আচরণ পরিবর্তন না হলে আমি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে বলব । বীনা সিক্রির চেহারা কালো হয়ে গেল । চা বিরতিতে বীনা সিক্রিকে পাকিস্তানি হাই কমিশনার বললেন, তোমার ধৈর্য আছে । আমাকে এসব বললে উঠে চলে যেতাম ।

জবাবে বীণা সিক্রি বলেন, খান সাহেব খোলামেলা সবকিছু বলেন । প্রাণখুলে বলেন । আমরা যাতে সমস্যার সমাধান করতে পারি । তার কয়েক দিন পরে অবশ্য বীনা সিক্রি আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে ভারতের সরকারের সংক্ষিপ্ত একটি লিখিত জবাব দিয়েছিলেন । সেখানে বলেছেন, আমরা খুব হতাশ হয়েছি । বন্ধুর কথায় মাঝে মাঝে যেমন আরেক বন্ধু হতাশ হয় তেমন হতাশ আমরাও ।

ভারতের আরেক হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তির সঙ্গেও আমার সখ্যতা গড়ে উঠেছিল । আমি তাকে পিনাকদা বলে সম্বোধন করতাম । তিনি আমাকে বলতেন, আমি তোমার সঙ্গে কথা বলার সময় তোমাকে বিদেশী বলে মনে করি না । এতটাই আন্তরিক ছিলেন । তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রকাশ্য কমেন্টে তিনি কৌশলী না হওয়ায় দার মন্তব্যে বিতর্কও হয়েছে । একবার ভারত বাংলাদেশে চাল রফতানি বন্ধ করে দিল । বাংলাদেশে চালের দাম বেড়ে গেল । সাংবাদিকরা সচিবালয়ে তাকে ধরলো । তিনি মন্তব্য করলেন, আমরা না খেয়ে আপনাদের চাল পাঠাব ! বিতর্ক শুরু হয়ে গেল । মন্তব্য করার ক্ষেত্রে রাজিব মিত্তার সাবধানী ছিলেন । লো প্রোফাইল ছিলেন ।  


আরও পড়ুন: বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস সামঞ্জস্যহীন: অর্থমন্ত্রী


আমি কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাবের সভাপতি থাকাকালে ২০১৫ সালে প্রথম প্রকাশ্যে ডিকাব টকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে রাজি হন ওই সময়ে ভারতের হাই কমিশনার পঙ্কজ শরন । তারপর হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন । বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পক্ষে ভারত সরকারকে অবস্থান গ্রহন করাতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন । রিভা গাঙ্গুলি প্রকাশ্যে কম কথা বলেছেন । সীমিত গন্ডিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন । বিতর্ক এড়িয়ে চলেছেন ।

তিন:

বিক্রম দোরাইস্বামি সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করবেন বলে মনে হচ্ছে । তবে তিনি স্পর্শকাতর সময়ে এসেছেন । লাদাখে চীন-ভারত সংঘাতে ভূ রাজনীতি উত্তপ্ত । বাংলাদেশ চাইছে পরিস্থিতি ঠান্ডা হোক । আমাদের অঞ্চলে উত্তেজনা থাকলে আমরা নিশ্চিন্তে শান্তিতে ঘুমাতে পারি না । ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এমন কোনও সমস্যা নেই । তিস্তাসহ পানির ভাগাভাগি, সীমান্তে হত্যা বন্ধ আর ভারতের রাজনীতিবিদদের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে এমন কোনও সিদ্ধান্ত যা আমাদের দেশে বিতর্কের জন্ম দেয় তা পরিহার করলে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় উঠবে ।  
বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশার হিসাবে বিক্রম দোরাইস্বামির সাফল্য কামনা করি ।

মাসুদ করিম, সিনিয়র সাংবাদিক

news24bd.tv নাজিম