করোনা ইউনিট ফাঁকা, নিয়ন্ত্রণে নেই করোনা পরিস্থিতি

করোনা ইউনিট ফাঁকা, নিয়ন্ত্রণে নেই করোনা পরিস্থিতি

হাসান পারভেজ

করোনা নির্ধারিত হাসপাতালে এখন শয্যা ফাঁকাই থাকছে। শনিবার সারা দেশে করোনা হাসপাতালের ১১,৬৮৭টি শয্যার মধ্যে ৯২২২টি ফাঁকাই ছিল। এদিকে টেস্টের সংখ্যা ও সংক্রমণ হার কমে আসলেও, মৃত্যুর সংখ্যা সেভাবে কমেনি।  

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এমনকি শীতে সংক্রমণ বাড়ুক বা না বাড়ুক সবাইকে অন্তত মাস্ক পড়ার তাগিদ দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

news24bd.tv

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো দেশে সনাক্তের হার টানা তিন সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা যায়। বাংলাদেশে শনিবার টেস্টের বিপরীতে গড় সনান্তের হার ছিল ১১.০৮ এবং প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গড় সনাক্তের হার ১২ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। সে হিসেবে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

news24bd.tv

দেশে গত ৭ মাসে করোনা সনাক্তের সংখ্যা পৌনে ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২ মাস ধরে রোগীর সংখ্যা কমেছে। শনিবার শেষ তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে করোনা হাসপাতালের ১১,৬৮৭টি শয্যার মধ্যে ৯২২২টি ফাঁকা ছিল। আর ৫৬৪টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ফাঁকা ছিল ৩১৪টি।

আইডিসিআর উপদেষ্টা মোস্তাক হোসেন বলছেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিকস এবং শরীরে মেদ থাকলে অবশ্যই হাসপাতালে নেয়া দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ এ অবস্থায় খুব দরকার বলেও জানান তিনি।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সংক্রমণের হার নিম্নমূখি হলেও এখনো স্বস্তিকর অবস্থায় আসেনি। টেস্টের সংখ্যা না বাড়াই জনস্বাস্থ্যবিদরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শানিবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী টেস্ট হয়েছে ১০৮৫৯ টি।


আরও পড়ুন: বেনজিরের সেনা ব্রিফ, নজরুলের প্রেম ও আইনের শাসন


জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলছেন, টেষ্ট অনেক কমে গেছে। সব সময় বলা হচ্ছে আমাদের যন্ত্রপাতি আছে। শুধু যন্ত্রপাতি থাকলে হবে না। সেটা কাজে লাগাতে হবে। টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে বলেও মত দেন তিনি।

এখন সারাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনা সনাক্তের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন ১৬তম দেশ।

news24bd.tv সুরুজ আহমেদ