পোস্ট সরিয়ে ক্ষমা চাইলেন অনন্ত জলিল

পোস্ট সরিয়ে ক্ষমা চাইলেন অনন্ত জলিল

অনলাইন ডেস্ক

ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল সারাদেশ। আর এই বিষয়টি নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরতে এক ভিডিও বার্তায় হাজির হন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। ধর্ষণের জন্য নারীর পোশাকই দায়ী বলে মন্তব্য করে তিনি।  

ওই ভিডিওতে অনন্ত জলিল বলেন, শালীন পোশাক পরা নারী কখনোই ধর্ষণের শিকার হয় না।

পোশাক ভালো না হলে তার শরীর-ফিগার দেখে বাজে স্বভাবের লোকজন ধর্ষণের উস্কানি পায়।

শনিবার (১০ অক্টোবর) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিওটি আপ করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। অনেক তারকারাও অনন্ত জলিলের ওই ভিডিও নিয়ে কথা বলেছেন। মূলধারার গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয় সংবাদ।

এরপর শনিবার বিকালে কিছুক্ষণের জন্য ভিডিওটি সরিয়ে নেন তিনি। সমালোচিত অংশ ফেলে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে আবার আপলোড করেন নিজের ফেসবুক পেজে।

মন্তব্যের বিতর্কিত অংশটুকু সম্পাদনা করে পোস্ট করে তার ক্যাপশনে লেখেন, ‘গতকালের ভিডিওতে আমি মূলত মেয়েদেরকে শালীনতা বজায় রাখার কথা বলতে চেয়েছি। অনেকেই বিষয়টিকে পজিটিভভাবে নিয়েছেন, আবার অনেকেই নেগেটিভভাবে নিয়েছেন। তবে, মন্তব্য নিয়ে আমি কোন বিতর্কে জড়াতে চাই না। তাই আমি উক্ত বিষয়টি কারেকশন করে দিলাম। কেউ ভুল বুঝে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ’ 

আরও পড়ুন: অনন্ত জলিল সমাজের নোংরা ময়লা

তিনি আরও বলেন, এখন বলছি আমার প্রিয় ভাইয়েরা, একবার চিন্তা করে দেখেন, আপনারা যা করছেন, তা ঠিক করছেন কিনা। এর আগে আমি তুই, তোমারি (তোকারি) করেছি, সেজন্য আমি সরি। একবার চিন্তা করেন, নিজের বোন যদি, নিজের মা যদি এ ধরনের সমস্যায় পড়েন, তখন মাথায় রক্ত উঠবে কিনা। আপনার যদি একটু মনুষত্য বেঁচে থাকে, তাহরে একবার চিন্তা করেন তখন কি অবস্থা হবে আপনার। তাই যতদিন বাঁচবেন ভালো কাজ করে যান। এমন কিছু করে যান, যার জন্য সমাজের কাছে, পরিবারের কাছে, বন্ধু-বান্ধবের কাছে অমর হয়ে থাকবেন।

অনন্ত আরও লেখেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্ষণ, বিশেষ করে শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যার মতো ঘৃণ্য অপরাধ বেড়েই চলেছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীর দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার বিকল্প কিছু নেই। পরিবারের দায়িত্ব নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা। নারী-পুরুষ উভয়েই পরিবার ও সমাজের জন্য অনিবার্য। পরিবার টিকিয়ে রাখার জন্য যেমন নারী-পুরুষের সম্মিলিত উদ্যোগ, পরিকল্পনা, ত্যাগ ও সংযমের প্রয়োজন। একজনকে উপেক্ষা করে বা বাদ দিয়ে কেবল পুরুষ কিংবা নারীর পক্ষে বেশিদূর এগোনো সম্ভব নয়। তাই, আমরা চাই নারী-পুরুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ সমঝোতামূলক সম্পর্ক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক। ’

news24bd.tv নাজিম