তৈরি পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা। পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশের পোশাক সারাবিশ্বে সমাদৃত, এজন্য এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগের সাথে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসবে তাতে পোশাক খাত লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান। বাণিজ্য সচিব অবশ্য বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে চান তারা তবে দেশীয় উদ্যোক্তারা যাতে কোন ক্ষতির মুখে না পরে সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
দু-বছর আগে জাপানি কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশের পোশাক খাতে বিনিয়োগের জন্য সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। সেই সময়ে সাড়া মেলেনি। তবে করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। চীনে থাকা জাপানিসহ অন্যান্য দেশের বহু কোম্পানী সেই দেশ থেকে উৎপাদন সরিয়ে নিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
গেলো আগস্টে পোশাক খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের নতুন নির্দেশনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়। তবে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে তারা যেসব পণ্য তৈরি করছেন সে সব জায়গায় বিদেশী বিনিয়োগ এলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।
ব্যবসায়ী খসরু চৌধুরী বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আসলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। অনেক চীনা কাঁচামাল থেকে সুবিধা পাবে তারা এতে করে লোকসান গুনতে হবে তাদের।
বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানও বলছেন একই কথা। তিনি জানান, কোন খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো যেতে পারে তবে পোশাক খাতে এখন প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর ভূমিকা চায় বাংলাদেশ
সিপিডির গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে, বিদেশি বিনিয়োগ আসলে তা পোশাক খাতের জন্য ইতিবাচক।
সুক্ষভাবে বিবেচনা করে এগুনোর কথা বললেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন। তিনি জানান, সব কিছু বিবেচনা করেই পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে হবে।
পোশাকের ক্রেতা বাড়াতে বিশ্বব্যাপী মেইড ইন বাংলাদেশকে ব্যান্ডিং করার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
news24bd.tv সুরুজ আহমেদ
