ধর্ষণের জরিমানা দেড় লাখ টাকা!

ধর্ষণের জরিমানা দেড় লাখ টাকা!

অনলাইন ডেস্ক

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ‘অবৈধ প্রেমের’ ফোনালাপের রেকর্ড ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় গ্রাম্য সালিসে অভিযুক্তকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভুক্তভোগী নারীকে সালিসে মারপিট করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলা গাছবাড়ী এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে একই এলাকার মুস্তাফা নামের এক ব্যক্তির অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তাদের অবৈধ সম্পর্কের কথোপথন ওই এলাকার পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনে কৌশলে রেকর্ড নেন। পরে সেই কল রেকর্ড ফাঁস করে দেবেন বলে ভুক্তভোগীকে তিনি ভয় দেখান। এরপর গত শুক্রবার রাতে ওই মেয়ের বাড়িতে ধর্ষণ করেন আনোয়ার হোসেন। কিন্তু তখন টের পেয়ে এলাকার লোকজন দুইজনকে আটক করে।
 

পরে শনিবার সকালে এলাকার মাতব্বর আজমত আলী, মোস্তফা, আজাহার, সাখাওয়াত হোসেন ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য গফুর উদ্দিন এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং কানে ধরিয়ে ওঠবস করান।  
কিন্তু এখন পর্যন্ত জরিমানার টাকা ভুক্তভোগীর কাছে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ওই পরিবার।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেছেন, ‘সালিশে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে সই করিয়ে মারপিট করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। জরিমানার টাকাও দেয়নি। ’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাতাব্বর আজাহার বলেন, ‘আমি বিচারে ছিলাম না। আমি কিছু জানি না। ’ 

আর গফুর মেম্বার বলেন, ‘আমি মারপিট করিনি। কিছু লোক তাকে মারপিট করেছে। ’ তবে জরিমানার কথা অস্বীকার করেন এই মেম্বার। তিনি বলেন, ‘জরিমানা করা হয়নি। চৌকিদারকে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। ’

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর