কিশোরগঞ্জে শহীদদের  স্মরণে নির্মিত এই স্মৃতিসৌধ

কিশোরগঞ্জে শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই স্মৃতিসৌধ

টিটু দাস,কিশোরগঞ্জ

 আজ ১৩ অক্টোবর।   কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ইতলা গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে  পাক হানাদার বাহিনী  রাজাকারদের সহযোগিতায় হত্যা করে কয়েকশ নিরীহ গ্রামাবাসীকে।

জ্বালিয়ে দেয় কয়েকটি গ্রাম।

৪৯ বছর আগের দিনটির কথা মনে হলে আজও শিউরে উঠেন এলাকাবাসী। কিন্তু এই গণহত্যার বিচার পায়নি শহীদ পরিবারগুলো।  

১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর  রাজকারদের সহযোগিতায় পাক হানাদারবাহনী উপজেলার বড়ইতলা, চিকনিরচর ও দামপাড়াসহ আশপাশের এলাকার পাঁচ শতাধিক লোককে ধরে এনে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রেল লাইনের পাশে জড়ো করে হানাদার বাহিনী।

এক পর্যায়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে, রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে নিরিহ ৩৬৫ জন গ্রামবাসীকে।

গুরুতর আহত হয় দেড় শতাধিক মানুষ।

বেদনাময় সেই রক্তাক্ত দিনটির কথা মনে করিয়ে দেয়-শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই স্মৃতিসৌধ। প্রতিবছর দুঃস্বপ্নের মতে বড়ইতলা গ্রামে ফিরে আসে ১৩ অক্টোবর। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও নিহত পরিবারের সদস্যদের দাবি স্মৃতি রক্ষার্থে একটি পাঠাগার এবং স্থানীয় রাজাকারাদের শাস্তির আওতায় আনার।

শহীদদের স্মৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য একটি পাঠাগার তৈরি করা বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান মো. আবদুল কাদির মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা।  বর্তমান সরকার স্থানীয় রাজাকারদের বিচার করবে এমনটাই প্রত্যশা শহীদ পরিবারের।

news24bd.tv তুষার

সম্পর্কিত খবর