চট্টগ্রামে পুলিশের সোর্সরাই নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে

চট্টগ্রামে পুলিশের সোর্সরাই নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে

নয়ন বড়ুয়া জয়,চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পুলিশের সোর্সরাই নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে । অভিযোগ রয়েছে, খুন, ধর্ষণ থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চুরিসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারা করছে না।

সিএমপি কমিশনার বলছেন থানা কেন্দ্রিক সোর্সের তথ্য সংগ্রহে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে তারা । তবে পুলিশ সদস্যদের কেউ অপরাধে জড়ালে তাদের কোন ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানালেন সিএমপি কমিশনার ।

   

অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহে বিভিন্ন ব্যক্তিকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন পুলিশ কর্মকর্তারা। অভিযোগ উঠেছে শহরের ১৬টি থানায় ১শ’র বেশি সোর্স এখন নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে ।   

গেল ১৬ জুলাই নগরীর ডবলমুরিংয়ের একটি বাসায় পুলিশের মারধরে স্কুল ছাত্র মারুফ নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয় । এরপরই অভিযোগ উঠে, ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল ছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশের দুই সোর্স সরাসরি জড়িত।

news24bd.tv

গেল ২৭  সেপ্টেম্বর  সুপারীওয়ালা পাড়ায় বান্ধবী  নূরীর বাসায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় পুলিশের সোর্স চান্দুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা বলছেন, চান্দু দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থাকলেও পুলিশের সোর্স হওয়ার কারণে মুখ খুলেননি তারা।

সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় বায়েজিদ থানার ৮ পুলিশ সদস্য ও এক সোর্সকে আসামি করে মামলা করার ঘটনাও ঘটেছে ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পুলিশ এখন সোর্সদের চাঁদা আদায়েরও হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এসব ঘটনায় দিশেহারা   সাধারণ মানুষ ।

আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই স্মৃতিসৌধ

তবে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলছেন, এসব অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত সোর্সদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা বিভাগ।  

 তবে পুলিশ সদস্যদের কেউ  কোন অপরাধ করলে তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি  ।

news24bd.tv তুষার

সম্পর্কিত খবর