মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় ঢাকা-ওয়াশিংটন

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় ঢাকা-ওয়াশিংটন

অনলাইন ডেস্ক

করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের অংশ হিসাবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা শুরু হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে হোটেল ওয়েস্টিনে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিফেন এডওয়ার্ড বিগানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বৈঠকে এসব বিষয় আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা যাতে দ্রুত তাদের দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারে, সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

 

করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিল্ট অ্যাক্ট’র আওতায় বেশ কিছু দেশকে সুবিধা দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সেটা (দিয়েছে প্রেফারেন্সিয়াল সুবিধা) দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ যদিও ভালো করছে...। আমরা বলেছি কভিড-পরবর্তী রিকভারি আরো দ্রুত হতে পারে, যদি বাংলাদেশকেও সেটার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়। সে ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যের আকার সে দেশগুলোর তুলনায় অনেক বড়।

সে ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আরো বড় আকারের আলোচনা করতে পারি। সেটা দুই দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা, যেটাকে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বলে, সে ধরনের একটি আলোচনার ব্যাপারে তিনি আমাদের উৎসাহিত করেছেন। ’


আরও পড়ুন: অটোপাশের খেশারত দিতে হবে শিক্ষার্থীদের


পোশাক খাতের বাইরে পাট ও পাটজাত পণ্য, জাহাজ তৈরি, আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, শু অ্যান্ড লেদার এবং আইটিকেন্দ্রিক সেবাখাতে বিনিয়োগ ও অংশীদারির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা জানান শাহরিয়ার আলম।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ঢাকার অনীহার কথা যুক্তরাষ্ট্রের উপমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সাজাতে ২২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ উদ্যোগে জয়েন্ট রেসপন্স প্রগ্রাম আয়োজন করেছে। প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “সেখানে বাংলাদেশকে তাঁরা আমন্ত্রণ করেছেন। আমরা খুব বেশি লংটার্ম পরিকল্পনায় যেতে চাই না। কারণ আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে বা প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো। ’

news24bd.tv আহমেদ