সবজির বাজারে অস্বস্তি আরো বাড়লো

সবজির বাজারে অস্বস্তি আরো বাড়লো

নিজস্ব প্রতিবেদক

সবজির দাম এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চড়া। এর মধ্যে নতুন করে আরও দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির।

বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সিজন না হওয়া আর চলমান সম্প্রতি বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় বাজারে সবজির সংকট রয়েছে।

  

আর ক্রেতারা বলছেন, কোনো পণ্যের বাজার সংকট না হলেও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার খুচরা বাজার, মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার এবং খিলগাঁও বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, উস্তা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মানভেদে ঝিঙা-ধন্দুল-পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, চিচিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল আকারভেদে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, গাজর ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে।


আরও পড়ুন: ঢাকার যেসব এলাকায় এখন মোটর সাইকেল চালাতে পারবেন না


তবে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে কয়েকটি সবজির দাম।

দাম কমে কচুর ছড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, শিম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।

তবে লাউ, জালি কুমড়া ও কাঁচা কলার দাম বাড়েনি। এসব বাজারে প্রতি হালি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, প্রতি পিস জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

মালিবাগের ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা পাইকারিতে প্রতিকেজি আলু ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। অন্যান্য খরচ যোগ করে এক কেজি আলু ৫০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব না।

তিনি বলেন, আড়ৎ ও কোল্ড স্টোরে কড়া নজরদারি করতে হবে। অন্যথায় দাম বেঁধে দিলে হবে না। আড়ৎ ও কোল্ড স্টোরে আলুর দাম কমলে, খুচরা বাজারেও দাম কমে যাবে।

শামিম উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারেতো সবজির কোনো ঘাটতি নেই। তবে দাম বাড়ছে কিভাবে? অবশ্যই ব্যবসায়ীমহল এর জন্য দায়ী। তারাই সিন্ডিকেট করে সব কিছুর মূল্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এদিকে কড়া নজর দেওয়া দরকার।   

এদেকে, আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, পায়জাম ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫৮ টাকা, জিরা মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, নাজির ৫৫ টাকা ও পোলাও চাল (খোলা) ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি।

বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি।

কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।

দাম বেড়েছে ছোট মাছের। কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেরে প্রতি কেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, মলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি টেংরা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, হরিণা চিংরি ৬০০ টাকা, বাগদা ও গলদা ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে।

অপরিবর্তিত আছে অন্য সব মাছের দর। বর্তমানে প্রতি কেজি শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাশ ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কৈ মাছ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১০০ টাকা, মিরর কাপ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।

news24bd.tv নাজিম