সরকারের আশ্বাস আর ঘোষণার বাস্তবায়ন নেই রাজধানীর বাজারগুলোতে। ৩০ টাকা দাম বেঁধে দিলেও প্রতি কেজি আলু কিনতে এখনো ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। কেবল আলু নয়, বেশিরভাগ শাক সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১শ টাকা কেজি দরে।
ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণির ক্রেতারা।
ভোক্তা সংগঠন ক্যাব এর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কৌশল কাজে আসে নি।বিশ্লেষকদের পরামর্শ, ওএমএস জোরালো করার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষায় ভর্তুকি আরো বাড়ানোর দরকার।
একদিকে করোনার হানা অন্যদিকে বাজারে গত ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার। রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারেই এক কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে গুনতে হচ্ছে ২ শ টাকা।
অন্যদিকে সরকার দাম বেঁধে দিলেও পাইকারি আড়তে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় আর খুচরা বাজারে তা এখনো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি বিপনন সংস্থা টিসিবির হিসাবেই বছরের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ১ শ শতাংশেরও বেশি।
বিক্রেতারা বলছেন বন্যা এবং অতিবৃষ্টির কারণেই গত কয়েক মাস ধরে সবজির বাজারে এমন দুরাবস্থা।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, করোনাকালে ৬৮ % পরিবার আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আলুর দাম কমলেও সবজির দাম এখনো চড়া
যেখানে সঞ্চয় ভেঙে সংসার চালাতে হয়েছে ৪৬ শতাংশ পরিবারকে। এছাড়াও দেশের ৮৪ শতাংশ দিনমজুর শ্রমিকরা আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের ভর্তুকি বাড়িয়ে খোলা বাজারে সরবরাহ বাড়ানো দরকার।
অন্যদিকে, এখনো খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১শ টাকা কেজি দরে।
news24bd.tv তুষার