থাকার জন্য পাঁকা দালানঘর; ঘর আলোকিত করতে সৌরবিদ্যুৎ। চুলা জ্বালাতে বায়োগ্যাস। আরো আছে আধুনিক বর্জ্য ব্যস্থাপনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, এমনকি মোবাইল নেটওয়ার্কও।
সব মিলিয়ে জীবন-ধারনের আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে এক লাখ রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর।
মেঘনা আর বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেঁগে ওঠা এক চর। চরের বুক জড়ে গাঢ় সবুজের মাঝে মাথা তুলে দাড়িয়েছে লাল ও সাদা রঙের দালানগুলো। যার আঙিনা জুড়ে এখন নিরব অপেক্ষা। জানালায় নতুন সূর্যের উকিঝুঁকি।
একরুমে চারজনের থাকার মতো দোতলা বেড। এমন ১৬টি রুম, নারী-পুরুষের জন্য আলাদা গোছলখানা, টয়লেট ও রান্নাঘর নিয়ে বানানো হয়েছে একেকটি বাড়ি। আর এমন ১২ টি বাড়ি নিয়ে একেকটি পাড়া বা ক্লাস্টার। পুরো প্রকল্পে মোট ১২০ টি ক্লাস্টার। প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে চারতলা সাইক্লোন সেন্টার। এক পাড়া থেকে আরেক পাড়ায় যেতে পাঁকা রাস্তাঘাট। রাস্তার পাশেই চোখে পড়ছে অত্যাধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম এবং সারি সারি সৌর বিদ্যুতের খুঁটি।
দুইটি চারতলা ভবন রাখা হয়েছে ২০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের জন্য। রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা-দীক্ষায় রাখা হয়েছে দুইটি চার তলা স্কুল । তিনটি চারতলা মসজিদ , দুইটি এতিমখানা ও একটি ডে-কেয়ার সেন্টার। এক লক্ষ রোহিঙ্গার তিন মাসের খাদ্য মজুদ রাখা যাবে এখানে তৈরি চারটি ওয়্যার হাউজে।
একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভবন তৈরি হয়েছে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের অফিস ও বাসস্থানের জন্য। ভিআইপি দর্শনার্থীদের জন্য বানানো হয়েছে একটি নান্দনিক ডুপ্লেক্স ভবন।
আরও পড়ুন: সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
প্রকল্প পরিচালক কমোডর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, ১৩ হাজার একর আয়োতনের এই বিশাল চরের মাত্র ৭০০ এক জমির চারপাশে বাঁধ দিয়ে ৪৩২ একরের উপর প্রকল্পটি নির্মিত হয়েছে। আরো ৯৩২ একর ভবিষ্যৎ সম্প্রসারনের জন্য রাখা হয়েছে যেখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকেও স্থানান্তর করা সম্ভব।
কক্সবাজারের পাহাড়কে একটু স্বস্তি দিতে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরুর উপরই নির্ভর করছে এই প্রকল্পের সাফল্য।
news24bd.tv আহমেদ