জীবনযুদ্ধে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তরা, আয় কমলেও বেড়েছে ব্যয়

সুলতান আহমেদ

করোনা আতংক অনেকটা কেটে গেলেও নতুন আতংক এখন নিত্যপণ্যের দাম ঘিরে। যে সময়ে আয় কমেছে প্রায় সব শ্রেণীপেশার মানুষের, তখন নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য। নিম্ন কিংবা মধ্যবিত্ত মানুষের বেশিরভাগেরই এখন চলতে হচ্ছে ধার দেনায়।  

এ বাস্তবতায়, বাজার নিয়ন্ত্রণের সাথে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে কম আয়ের মানুষের পাশে দাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীর অলি গলিতে দুধ বিক্রি করে সংসার চালান মো. চান মিয়া। করোনা মহামারির ধাক্কায় বিক্রি কমেছে তার, অর্ধেকে নেমেছে আয়। তবে তার পরিবারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। ফলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন তার পথও ‍খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।

 

শুধু চান মিয়া নয় সরকারি হিসেবেই এমন অস্বস্তিতে এখন দেশের প্রায় ৪ কোটি নিম্ন আয়ের মানুষ। করোনা মহামারি যাদেরকে ফেলেছে চরম অনিশ্চয়তায়। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকার চেষ্টারত মানুষগুলোর জন্য
মরার উপর খাড়ার ঘা নিয়ে এসেছে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম।   


আরও পড়ুন: ভিয়েতনামে ভূমিধসে ১৪ সেনা নিহত, নিখোঁজ ৮


রাজধানীর রাজপথে গাড়ির চাকা ঘুরছে স্বাভাবিক নিয়মেই কেটে যাচ্ছে সময়ও। মানুষের চলাফেরা দেখেও বুঝার উপায় নেই কতটা অস্বস্তিতে তারা। তবে আয় ব্যয়ের সমীকরণ কে মেলাবে তাদের?

করোনার পর স্বাস্থ্য খাতেও ব্যয় বেড়েছে সাধারণ মানুষের। অনেকে ছেড়েছেন শহর। বিআইডিএসের গবেষক ড. নাজনীনের মতে, জরুরিভাবে ক্ষুদ্র ঋণ দিতে হবে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের। পাশাপাশি বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান করার উপর জোর দিচ্ছেন গবেষকরা।  

news24bd.tv নাজিম