এসআই আকবরের গ্রেপ্তার নিয়ে গণমাধ্যম বিভ্রান্ত?

এসআই আকবরের গ্রেপ্তার নিয়ে গণমাধ্যম বিভ্রান্ত?

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুপুরে হঠাৎ করেই বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে ব্রেকিং দেওয়া হলো, গ্রেপ্তার হয়েছেন এসআই আকবর। কিছুক্ষণ পর উধাও হয়ে গেল সেই ব্রেকিং নিউজ। পিবিআই থেকে জানানো হলো এসআই আকবর নয়, আটক হয়েছে কনস্টেবল টিটু দাস। বিভ্রান্তি তৈরি হলো পাঠক-দর্শকদের মাঝে।

এদিকে সিলেটে এসআই আকবরকে গ্রেপ্তারের জন্য রায়হানের মায়ের ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটামের দুই দিন পার হয়েছে। এখনো হদিস নেই বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাবেক ওই ইনচার্জের। সিলেটে এ নিয়ে চলা ধারাবাহিক বিক্ষোভের মধ্যে রায়হানের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: মনে রাখবেন, সুদিনের পাখিরা উড়াল দেবেই!

বলেছেন, আকবর যেখানেই থাকুক, গ্রেপ্তার হবেই।

একইদিনে এই হত্যা মামলায় প্রথম একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।  
রায়হান উদ্দিন নিহত হওয়ার একদিন পর সিলেটের কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা করেন স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।

আরও পড়ুন: ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর যেন পালাতে না পারে

এরপর চারজনকে বরখাস্ত, তিনজনকে প্রত্যাহার করা হলেও ৮ দিনে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এরইমাঝে লাপাত্তা হন প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর।

রোববার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন রায়হানের স্বজনরা। এর দুদিন পর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে। মঙ্গলবার তাকে ৫ দিনের রিমান্ডও দেন সিলেটের আদালত।

আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের উপন্যাসে সিনেমার শুটিং ফের শুরু

এই হত্যা মামলায় এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এসআই আকবরের নিখোঁজ হওয়া। তার ধরা পড়া নিয়ে নানা বিভ্রান্তিকর খবরও আসে সংবাদ মাধ্যমে।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আকবরকে খুঁজে বের করা হবে যেকোনো মূল্যে। সকালে সিলেটের নিহারীপাড়ায় রায়হানের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ছাত্রীর মা বাসায় ফিরে দেখেন ‌‘মেয়েকে ধর্ষণ করছে; ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী

গেল ১১ অক্টোবর রাতে রায়হানকে তুলে নিয়ে যায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বলছে, শরীরে শতাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া রায়হানের মৃত্যু হয়, পুলিশ  ফাড়িতেই।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর