বন্ধ দেশের অর্ধেকেরও বেশি কাগজ কারখানা, বিপাকে ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)

বাবু কামরুজ্জামান

করোনকালে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের অর্ধেকেরও বেশি কাগজ কারখানা। ফলে চরম দুর্দশায় পড়েছে এ খাত সংশ্লিষ্ট লাখো শ্রমিক, কর্মচারী ও উদ্যোক্তা। হুমকিতে পড়েছে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ।  

উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্য সংযোজনকারী ভারি এ শিল্পের সুরক্ষায় ;বিশেষ প্রণোদনার আওতায় এনে অর্থায়ন নিশ্চিত করা গেলে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

যুক্তরাজ্য থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে দেশেই ভিন্ন কিছু করার স্বপ্ন দেখেন তরুণ উদ্যোক্তা মাহমুদ হাসান। বছর চারেক আগে রূপগঞ্জে দেড়শো কোটি টাকা বিনিয়োগে চালু করেন সিয়াম পেপার মিল নামের এই প্রতিষ্ঠান। করোনার শুরু থেকেই থমকে আছে এই কারখানার চাকা।  

news24bd.tv

দৈনিক ১২০ টন উৎপাদন ক্ষমতার এই কারখানার ইউনিট বাড়াতে বাড়তি অবকাঠামোও তৈরি করেছিলেন, তবে সে স্বপ্ন এখন অনেকটাই ধূসর চোরাবালিতে।

করোনার ধাক্কায় অর্থ সঙ্কটে এখন বন্ধ হয়ে আছে স্বপ্নের কারখানা।

সিয়াম পেপার মিলসের চেয়ারম্যান কে এম মাহমুদ হাসান বলেন, গত ৬-৭ মাস কারখানা বন্ধ থাকায় পুঁজি হারিয়েছে তারা। এখন যে কারখানা চালু করবো সে মূলধনটাও নেই।  

বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব বলছে, দেশে নিবন্ধিত কাগজ শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১১৪ টি। যেখানে চালু ছিল ৭৫টি কারখানা। কিন্তু করোনার ছোবলে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৩৮ টি। যা নিয়ে চরম শঙ্কায় পড়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বলছেন, মহামারীর এই সময়ে বিশেষ খাত বিবেচনায় সহজ করতে হবে এ খাতে প্রণোদনা পাওয়ার সুযোগ।

news24bd.tv

বাংলাদেশ পেপারস মিলস অ্যাসোসিয়েশন মহাসচিব মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন জানান, প্রণোদোনা প্যাকেজ ঘোষণা করা গেলে এই সেক্টর এগিয়ে যাবে।


আরও পড়ুন: যে কারণে রায়হানের বাড়িতে পুলিশের তদন্ত দল


হিসাব বলছে, ঐতিহ্যবাহী কাগজ শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে আছে ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান। যেখানে বিনিয়োগ আছে অন্তত ৭৫ হাজার কোটি টাকা। করোনাকালে অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ায় হুমকিতে পড়েছে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ বলেও জানান তিনি।

হিসাব বলছে, কাগজ শিল্পের সাথে পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে আছে প্রায় ১ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা যাদের বেশিরভাগই এই করোনাকালে বিপর্যয়ের মুখে।

news24bd.tv আহমেদ