দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে ভাসানচরে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখেই নির্মাণ করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ও অন্যান্য অবকাঠামো। ১৭২ বছরে বঙ্গোপসাগরে হওয়া সব ধরনের ঝড়ের উপর গবেষণা করে তৈরি করা কয়েছে এর সুরক্ষা বলয়। এমনকি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে ১০ হাজার বছর ধরে চলে আসা এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগের গতিপ্রকৃতি।
৭৪ বছর বয়সী মোবারক আলী।
মূল বাড়ী সন্দীপ চরে হলেও জীবীকার তাগিদে থাকেন ভাসানচরেই। এই বয়সে বড় বড় ঝড় দেখেছেন, কিন্তু বিপর্যস্ত হতে দেখেননি ভাসানচর। বরং, তাদের নতুন ভরসার জায়গা এই চরে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত সাইক্লান সেন্টারগুলো।স্থানীয় আরো দুজন রাখালও জানালেন একই কথা।
ভাসানচরে প্রাথমকিভাবে ১৮ টি স্লুইস গেট রেখে ৯ ফুট উচ্চতার ১২ কিলোমিটার বাঁধ দেয়া হয়েছে যেটি সাম্প্রতিককালে ফণি আম্পান ও বুলবুলের মতো ঝড়কে মোকাবিলা করছে সহজেই। ভাঙন রোধে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এছাড়া বাঁধ থেকে সমুদ্র তীরর্বতী এলাকায় করা হয়েছে সবুজ বনায়ন। ১০০ কিলোমিটার গতির ঝড়েও অটুট থাকবে এখানকার একশোটি চারতরা সাইক্লোন সেন্টার।
আরও পড়ুন: বন্ধ দেশের অর্ধেকেরও বেশি কাগজ কারখানা, বিপাকে ব্যবসায়ীরা
প্রকল্প পরিচালক কমোডর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, সন্দীপ বা হাতিয়ার মতোই দ্বীপ ভাসানচর। বরং সেগুলো দ্বীপের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা আছে এই চলে। প্রতি এক হাজার জনের জন্য আছে একটি সাইক্লোন সেন্টার।
শুধু কৃত্রিম ব্যবস্থা-ই না দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রাকৃতকি ভারসাম্য বজায় রেখে আশ্রয়ন প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়ছে। চরজুড়ে রয়েছে প্রাকৃতকি খাল ও ম্যানগ্রোভ বন। দেখা মেলে নানা রকম পাখি, মাছ, কাকড়াসহ প্রাণ-প্রকৃতরি নানারকম সৃষ্ট। সবকিছুই বাঁচিয়ে রাখা হয়ছে। আর তাই সৌর্ন্দযের দিক থেকেও আলাদা এক নৈস্বর্গিক পরবিশে তৈরি হয়েছে ভাসানচরে।
news24bd.tv আহমেদ