'লিবিয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি 'বিশ্বাসযোগ্য' নয়'

'লিবিয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি 'বিশ্বাসযোগ্য' নয়'

অনলাইন ডেস্ক

লিবিয়ার যুদ্ধরত দলগুলির মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। শুক্রবার ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি (লিবিয়ার) উচ্চপর্যায় থেকে করা হয়নি।   সময় বলে দেবে নিম্নপর্যায়ের ব্যক্তিদের করা ওই চুক্তি কতদিন বজায় থাকে।

 


আরও পড়ুন:ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করল ছাত্রলীগ সভাপতি


জাতিসংঘ মিশন জানায়, দুই পক্ষের ৫ জন করে সামরিক সদস্য জেনেভায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। ঐতিহাসিক এ চুক্তি লিবিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

এ সময় এরদোগান তুর্কি নাগরিকদের করোনাভাইরাস মহামারীর প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন।   তিনি বলেন, ‘মাস্ক, দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধিকে আমাদের অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।

আমরা এ বিষয়ে সতর্ক। ’

লিবিয়ায় যুদ্ধরত দুইপক্ষ দেশটির স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দিয়ে শান্তিচুক্তি করতে সম্মত হয়েছে। শুক্রবার যুদ্ধরত প্রধান দুই পক্ষ এ পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।   এর ফলে কয়েক বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমাপ্তি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   

এ ছাড়াও দেশটি থেকে রাশিয়া, তুরস্ক ও অন্যাক্ত আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হতে পারে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।  

শুক্রবার জাতিসংঘের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, লিবিয়ায় যুদ্ধরত উভয় পক্ষের সামরিক প্রধানরা আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। একে ঐতিহাসিক চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলা দেশটিতে শান্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে জাতিসংঘের দূত স্টিফেন টুরকো উইলিয়ামস। যিনি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা ছিলেন।   

এতে স্বাক্ষর করেছে খলিফা হাফতারের বাহিনী এলএনএ এবং ত্রিপোলিভিত্তিক সরকার জিএনএ।   ক্ষমতার প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী মাসে তিউনিশিয়ায় বসবে দুইপক্ষ।

জাতিসংঘের দূত স্টিফেন উইলিয়ামসের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, আগামী ৩ মাসের মধ্যে দেশটিতে থাকা বিভিন্ন দেশের সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।  

স্টিফেন উইলিয়ামস বলেন, ‘স্রষ্টার ইচ্ছায় এটা পুরো লিবিয়ার শান্তির চাবিকাঠি হতে পারে। যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে দুই পক্ষকে রাজি করাতে অনেকটা কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। '

news24bd.tv কামরুল