আমরা যেন কখনও অন্য ধর্মের উপাস্যকে গালাগালি না করি

আমরা যেন কখনও অন্য ধর্মের উপাস্যকে গালাগালি না করি

তুহিন মালিক

সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব চলছে। আমরা যেন তাদের দেব-দেবীদের গালাগালি না করি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে নিষেধ করেছেন। আমরা যেন কখনও অন্য ধর্মের উপাস্যকে গালাগালি না করি।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ! তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব দেব-দেবীর পূজা-উপাসনা করে, তোমরা তাদেরকে গালি দিও না। যাতে করে তারা শিরক থেকে আরো অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিয়ে না বসে। ’ (সূরা আনআ’ম- ৬:১০৮)


আরও পড়ুন: কয়েকটি সুরার ফজিলত ও আমল


আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হলে কষ্ট পাই। প্রতিবাদ করি।

বিচার চাই। অন্যান্য ধর্মের মানুষগুলোরও ঠিক একই রকমেরই কষ্ট লাগে। তাদেরও ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো এবং বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

আর আমাদের পবিত্র ধর্ম প্রত্যেকের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার দিয়েছে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের কোনভাবেই জোড় জবরদস্তি করে মুসলমান বানানো ইসলামে কোনভাবেই বৈধ নয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে বলছেন- ‘তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলে পৃথিবীতে যারা আছে তারা সবাই ঈমান আনত। তবে কি তুমি মুমিন হওয়ার জন্য মানুষের ওপর জবরদস্তি করবে?’ (সূরা ইউনুস : ৯৯)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন-  ‘দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। ’ (সূরা বাকারা : ২৫৬) 

তাই প্রকৃত মুসলমান কখনোই ভিন্নধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমান যদি ভিন্নধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে, কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ (সাঃ) ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব। ’ (আবু দাউদ : ৩০৫২) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেছেন, ‘অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। ’ (সহীহ বুখারি : ৩১৬৬) অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিমকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। ’ (সুনানে নাসায়ী : ৪৭৪৭)

(ফেসবুক থেকে)

news24bd.tv কামরুল