কৃষি পণ্যের নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষক, লাভবান মধ্যস্বত্বভোগীরা

কৃষি পণ্যের নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষক, লাভবান মধ্যস্বত্বভোগীরা

ফখরুল ইসলাম

ধান বেচে, কৃষক মণে লাভ করেন মাত্র ১৫০ টাকা। সেখানে সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ টাকা লাভ করেন মিল মালিক ও পাইকাররা। এই কৃষকদের শ্রমেই চাল উৎপাদনে এখন বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ। অথচ ধান বিক্রিতে সরকারের নির্ধারিত মূল্যটুকুও জোটেনা তাদের ভাগ্যে।

 

এছাড়া আলু কেজিতে চাষী পান গড়ে ৯ টাকা। বাকী ১৪ থেকে ১৮ টাকাই যায় মিডলম্যানদের পকেটে। আদা রসুন আর পেঁয়াজের বাজারের তফাৎটাও একই।

news24bd.tv

মাঠের রোদ বৃষ্টি মাথায় অতি দরদে সোনালী ফলন ধান উৎপাদন করেন কৃষক।

একর প্রতি ধান উৎপাদনে খরচ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে মণ প্রতি খরচ দাড়ায় ৬০০ টাকা। এই ধান বিক্রিতে কৃষকের জন্য সরকার দাম নির্ধারণ করেছে ১ হাজার টাকা।

কৃষকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত ধানের বিক্রি দর ১ হাজার টাকা। অথচ আমরা সাড়ে সতশ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারিনা। আর আমরা একমণ চাল কিনি ১৩শ থেকে ১৫শ টাকায়।

সাড়ে ৭শ থেকে ১৫শ টাকায় পার্থকটা সাড়ে ৭শ টাকার। যেখানে মাত্র দেড়শ টাকা লাভ জোটে কৃষকের। বাকী ৬শ টাকা যায় কার পকেটে? কতটুকুই বা খরচ তাদের।

প্রতি মণ ধানে চাল পাওয়া যায় ২৫ কেজি। ছাটাইসহ চাল পাইকারদের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত খরচ সার্বসাকুল্যে ৫০ টাকা। এই চাল রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে বিক্রি হয় ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা। বাকী সাড়ে ৪শ থেকে ৬শ টাকা মুনাফা ভাগাভাগি হয় মিলারসহ ধান ও চাল পাইকারদের মধ্যে।

news24bd.tv


আরও পড়ুন: পিপলস লিজিং অবসায়ন কিংবা বন্ধ করাই সমাধান নয়


শুধু চাল নয় মাঠে ঠকতে হয় আলু চাষীদেরও। কেজি প্রতি মানভেদে ৭ থেকে ১০ টাকা পান প্রান্তিক কৃষক। এরপর তা কেজিপ্রতি ভোক্তাদের কাছ থেকে যায় ১৮ থেকে ২৫ টাকায়। অথচ সেই আলু-ই এবার হিমায়িত হয়ে ৩৫ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত ঠেকেছে। যেখানে কৃষকের তুলনায় তিনগুণ বা কোথাও তারও বেশি দাম ঢুকছে মধ্যস্বত্তভোগীদের পকেটে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসাদুল্লাহ জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে ধানের মূল্য পায় না চাষীরা। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মুনাফা লুটে নেয় তারা।

মাঠে কৃষক ঠকলেও বাজারে আকাশচুম্বী ঝাঁঝ পেয়াঁজ, আদা রসুন ও ডালের। নিত্যপণ্য দাম নিয়ে কৃষক ও ভোক্তা পর্যায়ে প্রতারণা ঠেকাতে বাজার ও মূল্য ব্যবস্থাপণা তৈরির আহ্বান বিশ্লেষকদের।

news24bd.tv আহমেদ